রেস্তোরাঁ থেকে আনা বাসি চিকেন চাউমিন খেয়েই বিপত্তি, কিডনি বিকল হয়ে গেল যুবকের, খোয়াতে হল পা

সকালে তাড়াহুড়োর মধ্যে জলখাবার বানানোর সময় ছিল না। তাই আগের দিন রাতে রেস্তোরাঁ থেকে আনানো চিকেন চাউমিন দিয়েই জলখাবার সারেন। আর এতেই নিজের বিপদ ডেকে আনলেন যুবক। ফ্রিজ থেকে বের করে সেই খাবার খেতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন যুবক, হাসপাতালে ভর্তি করলে জানা যায় কয়েকটি অঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছে তাঁর। বাদ গিয়েছে পা-ও।
জানা গিয়েছে, ওই যুবক থাকেন এডিনবরারে। এক বন্ধুর সঙ্গে থাকেন তিনি। আগের দিন রাতে রেস্তোরাঁ থেকে আনিয়েছিলেন চিকেন নুডলস। রাতে সেই নুডলস খাননি তিনি। সকালে জলখাবারে খান ওই বাসি নুডলস। এরপরই বিপত্তি।
জানা গিয়েছে, নুডলস খাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই প্রচণ্ড অসুস্থ হতে শুরু করেন যুবক। শরীরের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায়। পালসের গতি বাড়ে। হৃদস্পন্দনের হারও বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা এবং বমি শুরু হয়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যুবককে।
তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করে নেন চিকিৎসকরা। কী থেকে এমনটা হল, তা প্রথমে ধরতেই পারছিলেন না চিকিৎসকরা। কারণ ওই যুবকের অ্যালার্জির কোনও সমস্যা নেই। এমনকি, ম’দ্যপানও করেন না। রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায়, ‘নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস’ মারাত্মক ক্ষতিকর এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া খাবারের মাধ্যমে প্রবেশ করেছে ওই যুবকের শরীরে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণেই বিকল হয়ে যায় যুবকের কিডনি। জমাট বেঁধে যায় রক্তও।
চিকিৎসকদের কথায়, সচরাচর এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ খুব একটা দেখা যায় না। ১০ জনের একজনের শরীরে ধরা পড়ে এই নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। শরীরে রক্তনালি প্রসারিত করে দেয় এই ব্যাকটেরিয়া। রক্তচাপের মাত্রা কমিয়ে দেয়। শরীরে অক্সিজেন পৌঁছতে দেয় না। এর জেরেই বিকল হয়ে পড়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। ওই যুবকের পা ও আঙুলের টিস্যুতে গ্যাংগ্রিন হয়। এর জেরেই হাঁটুর নিচের অংশ কেটে বাদ দিতে হয়েছে যুবকের।