ফের বিপদ! ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার তৈরি কাশির ওষুধ খেয়ে মৃত্যু ১৮ জন শিশুর, আপনার বাড়িতেও এই ওষুধ নেই তো?

ফের কাশির সিরাপ খেয়ে ঘটল শিশু মৃত্যুর ঘটনা। এর আগে আফ্রিকা থেকে এমন অভিযোগ উঠে এসেছিল। এবার কাশির সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হল ১৮ জন শিশুর। এবার অভিযোগ উজবেকিস্তান থেকে। গতকাল, বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরি ওষুধ খেয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন শিশুর।
মধ্য এশিয়ার দেশটির নিরাপত্তা পরিষদ এই নিয়ে অপরাধমূলক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। অভিযোগ, ডক-১ ম্যাক্স নামক ওষুধ খেয়ে সেদেশে পরপর শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই আবহে আমদানিকারক সংস্থা কিউরাম্যাক্সের কর্তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে উজবেকিস্তানে। এছাড়া স্টেট সেন্টার ফর এক্সপার্টাইজ অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অফ মেডিসিনের বিরুদ্ধে উজবেকিস্তানের ক্রিমিনাল কোড ১৮৬-৩ ধারায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গবেষণাগারে পরীক্ষার সময় ডক-১ ম্যাক্স নামক সিরাপে রাসায়নিক ইথিলিন গ্লাইকল মিলেছে। হরিয়ানার মেডেন ফার্মার ওষুধেও এই একই রাসায়নিক মিলেছিল। তা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে। ওই ওষুধের কারণেই আফ্রিকার গাম্বিয়াতেও শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।
সেই ঘটনার পরই ভারতে তৈরি কয়েকটি কোম্পানির কাশির ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়। সেই ওষুধগুলির মধ্যে ছিল প্রোমেথাজি়ন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কাফ সিরাপ, মেকফ বেবি কাফ সিরাপ এবং মাগরিপ এন কোল্ড সিরাপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করেছিল যে এই চারটি ওষুধের কারণেই আফ্রিকায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।
এদিকে আবার ভুয়ো ওষুধ প্রস্তুতকারকদের পর্দা ফাঁস করতে এবার তৎপর কেন্দ্র সরকার। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ৬টি দল এবার নানান ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় নিরীক্ষণ ও তল্লাশি চালাবে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলি সাহায্য করবে কেন্দ্রকে। জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন-এর দুই যুগ্ম ড্রাগ কন্ট্রোলের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির তরফে এই গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখা হবে।
ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি গুণগত মান বজায় রেখে বিজ্ঞানসম্মতভাবে নির্দিষ্ট ওষুধ প্রস্তুত করছে কী না, তা খতিয়ে দেখবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই দল। ইতিমধ্যেই অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওষুধ উৎপাদনের মূল কেন্দ্র হিমাচল প্রদেশে ১২টিরও বেশি ওষুধের কারখানায় অভিযান করা হয়েছে।