বেআইনিভাবে নিযুক্ত প্রার্থীদের গেল চাকরি আর সুবীরেশের গেল ‘ডক্টরেট’ উপাধি, সুবীরেশকে গ্রুপ ডি-র মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) সাজা শোনালেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Avijit Ganguly)। গ্রুপ ডি-র (SSC Group D) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশকে যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন তিনি। এর সঙ্গে এও নির্দেশ দেন যে এই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিজের ‘ডক্টরেট’ (doctorate) উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না তিনি।
আজ, শুক্রবার উত্তরপত্র কারচুপির মামলায় গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ জন কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে, দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে”। বেনিয়মে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেন এসএসসির আইনজীবীও। এরপরই কমিশনের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে এসএসসি।
এদিন এই মামলার সূত্র ধরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন যে এতজনকে বেআইনিভাবে কার নির্দেশে নিয়োগ করা হয়েছে? সেই সমস্ত মাথার নাম প্রকাশ্যে আনার জন্য পর্ষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেন তিনি। এমনকি, এই মামলায় সুবীরেশকে যুক্ত করার নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুবীরেশকে যাতে এই গ্রুপ ডি-র মামলায় যুক্ত করা হয়, তার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি এও নির্দেশ দেন যে এই মামলার কোনও মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত সুবীরেশ নিজের কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি ভয় পান, তাহলে তাঁর পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বলে রাখি, গত ১৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই। এরপরই গ্রেফতার করা তাঁকে। আদালতে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে যে এসএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন সুবীরেশের নির্দেশেই কিছু নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীর মার্কশিটের নম্বর বদল করা হয়েছিল। সিবিআইকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগও আনা হত তাঁর বিরুদ্ধে।