অদ্ভুত নিয়ম! ম’দ্যপান করে গাড়ি বা বাইক চালালেও এবার আর রাস্তায় ধরবে না পুলিশ, বেজায় খুশি সুরাপ্রেমীরা

সপ্তাহের শেষে নিজের স্ট্রেস দূর করার জন্যই হোক বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে উইকেন্ড পার্টি হোক বা নিজের ইচ্ছা, অনেকেই পছন্দ করেন কোনও পানশালাতে গিয়ে একটুআধটু ম’দ্যপান করতে। কিন্তু তাদের মধ্যে একটা ভয় সবসময় কাজ করে যে ম’দ্যপানের মাত্রা যেন বেশি না হয়। তা হলেই রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোলে নাকা তল্লাশির সময় পুলিশ ধরবে।
তবে এবার সেই ভয় থেকে অনেকাংশেই মুক্তি পেতে চলেছেন সুরাপ্রেমীরা। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে এক সিদ্ধান্ত। জানানো হয়েছে যে এবার থেকে আর ম’দ্যপান করে চার চাকা ও দু’চাকা গাড়ি চালালেও পুলিশ তাদের আর নাকা তল্লাশিতে ধরবে না। কী ভাবছেন তো, এমনটাও কী সম্ভব হতে পারে? হ্যাঁ, এমনই ঘোষণা করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
আসলে রাতের বেলা নাকা তল্লাশির সময় গাড়ি বা বাইক আরোহীদের ব্রেথ অ্যানালাইজার দিয়ে পরীক্ষা করে পুলিশ। কেউ যদি মাত্রাতিরিক্ত ম’দ্যপান করে থাকেম, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু এখন তেমন কিছুই হবে না। ম’দ্যপান করে থাকলেও আপনাকে আর ধরবে না পুলিশ। তবে হ্যাঁ, তার জন্য একটা শর্ত রয়েছে।
আপনার কাছে যদি একটি সার্টিফিকেট থাকে, তাহলে ম’দ্যপান করে গাড়ি বা বাইক চালালেও পুলিশ তাদের ধরবে না। আর সেই সার্টিফিকেটটি দেবে আপনি যে পানশালা থেকে ম’দ্যপান করছেন, সেই পানশালা কর্তৃপক্ষ।
পুলিশের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে ম’দ্যপানের পর এবার থেকে পানশালাতেই নেশার পরীক্ষা দিতে হবে সকলকে। এই জন্য পানশালাগুলিকে ব্রেথ অ্যানালাইজার ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। পানশালা থেকে বেরোনোর সময় এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যারা চার চাকা গাড়ি বা বাইক চালিয়ে ফেরেন, তারা যাতে মাত্রাতিরিক্ত ম’দ্যপান না করেন, সেই কারণেই এমন নির্দেশিকা।
পানশালা থেকে দেওয়া সেই সার্টিফিকেট দেখে ও ব্রেথ অ্যানালাইজারে ম’দ্যপানের সঠিক মাত্রা দেখালে তাহলেই আপনাকে ছেড়ে দেবে পুলিশ। কোনওধরণের কোনও অসুবিধা হবে না। শহরে দুর্ঘটনা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই সুবিধা শুধুমাত্র তাদের জন্যই যারা পানশালা থেকে ম’দ্যপান করে গাড়ি নিয়ে ফেরেন। যদি কোনও ব্যক্তি নিজের বাড়ি বা কোনও বন্ধু-বান্ধবের বাড়ি থেকে ম’দ্যপান করে গাড়ি চালান, তাহলে কিন্তু তাদের পুলিশ অবশ্যই আটকাবে আর মাত্রাতিরিক্ত ম’দ্যপান করে থাকলে উপযুক্ত পদক্ষেপও করবে।
তবে পুলিশের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। কারোর শরীরে ম’দ্যপানের মাত্রা কেমন হবে বা ঠিক কতটা ম’দ্যপান করলে কোনও ব্যক্তির নেশা হবে, তা কোনও মেশিন কী আদৌ নির্ণয় করতে পারে? একই পরিমাণ ম’দ খেয়ে দুই আলাদা ব্যক্তির মধ্যে আলাদা প্রতিক্রিয়া হয়। সেক্ষেত্রে ম’দ্যপানের নির্দিষ্ট মাত্রা স্থির হবে কীভাবে? আর পানশালার মালিক যদি সঠিকভাবে বিচার না করেই কাউকে সার্টিফিকেট দিয়ে দেন, তাহলে ওই ব্যক্তি অতিরিক্ত ম’দ্যপান করলেও পুলিশের হাত থেকে ঠিক ছাড়া পেয়ে যাবে।