দেশ

নিয়েছেন ৫ টাকা ঘুষ, দিল্লি ম’দ-কাণ্ডে এবার খোদ ইডি আধিকারিকের বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের

অনেক মামলাতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআইকে একত্রে তদন্ত করতে দেখা গিয়েছে। আর এবার তদন্ত শুরু হল খোদ ইডি আধিকারিকের বিরুদ্ধেই। দিল্লির ম’দকাণ্ডেই এবার নাম জড়াল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিকের। এই মামলায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লির ব্যবসায়ী আমনদীপ ঢালিকে। সেই ব্যবসায়ীর থেকেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইডি আধিকারিকের বিরুদ্ধে।  

কী অভিযোগ উঠেছে?

অভিযোগ, আমনদীপ ঢালিকে সাহায্য করার জন্য ইডি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পবন খাতরি ও ক্লার্ক নীতেশ কোহার ৫ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। আমনদীপ ও তাঁর বাবা বীরেন্দ্র পাল সিং জানিয়েছেন, এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট প্রবীন ভাটকে তাঁরা ৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তারা। এর বদলে ইডি তদন্ত থেকে বেঁচে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি মিলেছিল।

সিবিআই সূত্রে খবর, আমনদীপের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন প্রবীন ভাট ও এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মী দীপক সাংওয়ান। আরও অভিযোগ উঠেছে যে ওই টাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ইডি অফিসার খাতরি ও এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মী দীপক সাংওয়ানকে দেওয়া হয়েছিল।

জানা গিয়েছে, আমনদীপ গ্রেফতার হওয়ার পর তার বাবা ওই টাকা ফেরত চান। সেই সময় সেই ইডি আধিকারিকের উপস্থিতিতেই ১ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে সিবিআইকে। এরপরই আর্থিক দুর্নীতির মামলা রুজু করেছে সিবিআই। সেই মামলাতেই নাম রয়েছে ওই ইডি আধিকারিকের।

প্রসঙ্গত, গত বছর থেকেই আবগারি নীতি নিয়ে দিল্লির রাজনীতিতে চাপানউতোর চলছে। দিল্লির উপরাজ্যপাল বিকে সাক্সেনার নির্দেশে সিবিআই রাজ্যের আম আদমি সরকারের আবগারি নীতি নিয়ে তদন্ত চালাতে শুরু করে প্রথমে। যেহেতু ঘটনায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ জড়িত ছিল, তাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বা ইডির তরফ থেকেও পরে শুরু হয় তদন্ত।

এই দুর্নীতির তদন্তে চলতি বছরের শুরু থেকেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে থাকে দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সিই। সিবিআই ও ইডির দাবি, এই দুর্নীতির শিকড় অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে এই মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। এর পরে মার্চ মাসে তিহাড় জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করে ইডি, ফের গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে।

Back to top button
%d bloggers like this: