‘জনগণমন’র মতোই সমান মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য ‘বন্দে মাতরম’ও, আদালতে জানাল মোদী সরকার

জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন’ ও জাতীয় স্তোত্র ‘বন্দে মাতরম’কে সমান সম্মান করা উচিত। এই দুটি সঙ্গীতই সমান মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। দিল্লি হাইকোর্টে এক হলফনামায় এমনটাই জানাল মোদী সরকার। কেন্দ্রের মতে, এই দুই সঙ্গীতকেই নাগরিকদের সমান সম্মান দেওয়া উচিত।
জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন’র সমান মর্যাদা দিতে হবে জাতীয় স্তোত্র ‘বন্দেমাতরমকে। এই মর্মে দিল্লি হাই কোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তাঁর আরজি ছিল, প্রতিটি স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনগণমন’ ও ‘বন্দেমাতরম’ দুটিই যেন গাওয়া হয়।
অশ্বিনি উপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, “আমাদের ইতিহাসের এক প্রতীক ‘বন্দেমাতরম’। যদি কোনও নাগরিক প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনওভাবে এই গানের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে তাহলে সেটাকে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ বলে ধরতে হবে”।
বিজেপি নেতার এই আবেদনের ভিত্তিতেই দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্র সরকারের কাছে হলফনামা চায়। সেই হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে যে ‘বন্দে মাতরম’ ও ‘জনগণমন’, একই স্তরে দণ্ডায়মান। তবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। যা না মানলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। তবে জাতীয় স্তোত্রের ক্ষেত্রে তেমন কোনও নিয়ম নেই। এক্ষেত্রে কেন্দ্র আদালতের নির্দেশ মেনে চলেছে। এই স্তোত্র ভারতবাসীর মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে।
বলে রাখি, এর আগেও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ‘বন্দে মাতরম’কে জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দেওয়ার দাবী উঠেছে। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রতিবারই জানায় যে দুটি সঙ্গীতকে জাতীয় মর্যাদা দেওয়ার সুযোগ সংবিধানে নেই। তবে দিল্লি হাইকোর্টের এই হলফনামা যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য।