সৎ কাজের জন্য টাকা ধার দেন স্বয়ং হনুমানজি, ভুল করেও টাকা চুরি করলেই মহাবিপদ, অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী দেশের এই মন্দির

ধরুন আপনি কোনও ব্যবসা করবেন, বা আপনার মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না বা খুব খারাপ দুরাবস্থা চলছে আপনার, সেই সময় কারোর থেকে টাকা ধার নেওয়া খুব প্রয়োজন। কিন্তু কারোর থেকে টাকা পাচ্ছেন না আপনি। এমন সময় যদি স্বয়ং ভগবান আপনার সহায় হন তাহলে? ভগবানই যদি আপনাকে টাকা ধার দেন তাহলে?
আমরা বিপদে পড়লে ভগবানের শরণাপন্ন হই। টাকার প্রয়োজন হলেও ভগবানকে বলি আমাদের সাহায্য করতে। ভগবান কোনও মাধ্যমের দ্বারা সেই সাহায্য করেন আমাদের, এটাই আমাদের বিশ্বাস। কিন্তু যদি এমন হয় যে স্বয়ং ভগবানই আমাদের টাকা ধার দিল, তাহলে? ভারতে এমনই এক মন্দির রয়েছে যেখানে গেলে আপনি খোদ হনুমানজির থেকে টাকা ধার পাবেন।
কী ভাবছেন কোনও মজা? না, কোনও ঠাট্টা নয়, এমনটা হয় রাজস্থানের প্রতাপগড়ের ঝাঁসড়ী গ্রামে। সেই গ্রামে রোকরিয়া মন্দিরে স্বয়ং হনুমানজিই সকলকে টাকা ধার দেন। এই মন্দিরে রয়েছে দ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ রোকরিয়া হনুমানজি। এই ব্যাঙ্কের খাজাঞ্জি স্বয়ং বজরংবলী।
কীভাবে টাকা ধার দেন হনুমানজি?
শোনা যায়, এই গ্রামের মন্দিরে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসেন পুজো দিতে। এই মন্দিরে ভগবানের সামনেই রাখা থাকে একটি পুঁটলি। সেই পুঁটলিতেই থাকে টাকা। যার যখনই কোনও প্রয়োজন পড়ে, তিনি সেই সময় সেই পুঁটলি থেকে টাকা ধার নিতে পারেন। তবে শর্ত একটাই, সেই টাকা আবার ফিরিয়ে দিতে হবে হনুমানজিকে। আর সেই টাকা শুধুমাত্র ভালো কাজের জন্যই ব্যবহার করা যাবে।
এবার ভাবছেন তো, এমনভাবে পুঁটলিতে টাকা থাকলে তো যে কোনও সময় চুরি হয়ে যেতেই পারেন। নাহ্, তেমনটা কখনও হয় না। জানা যায়, একবার এক চোর এই পুঁটলিতে হাত ঢুকিয়ে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই পুঁটলিতে হাত ঢোকানোর পর হাত বের করতেই পারে নি সে। সকাল পর্যন্ত ওই পুঁটলিতেই হাত আটকে বসেছিল ওই চোর।
কী বিশেষত্ব রয়েছে এই মন্দিরের?
জানা যায়, এই ঝঁসড়ী গ্রামের নাম আগে ছিল গন্ধর্ব। কথিত রয়েছে, এই গ্রামের রাজা গন্ধর্বসেন স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন যে তাঁর কন্যার বিবাহ এক গাধার সঙ্গে দিতে হবে। তা নাহল গোটা গ্রাম ধ্বংস হয়ে যাবে। সেই আদেশ মানেন নি রাজা। আর ফলস্বরুপ ধ্বংস হয়ে গোটা গ্রাম। গোটা গ্রাম তছনছ হয়ে গেলেও এই হনুমান মন্দিরের কোনও ক্ষতি হয়নি। শোনা যায়, এই মন্দিরে হনুমানজির মূর্তি কেউ স্থাপনা করে নি। তা আগের থেকেই ছিল।
হনুমানজির এভাবে টাকা ধার দেওয়ার ঘটনা এখন জনমুখে প্রচারিত। কোন অলৌকিক বিষয়ের জেরে এমনটা হয়, তা আজও অজানা। কিন্তু মানুষ জানেন, তারা সৎ কাজের জন্য হনুমানজির কাছে হাত পাতলে তিনি ভক্তদের ফেরাবেন না। যতটা দরকার টাকা ধার দিয়ে হনুমানজি সাহায্য করেন নিজের ভক্তদের।