পৃথিবীর উচ্চতম রেল সেতুর অধিকারী হতে চলেছে ভূ-স্বর্গ! গগনচুম্বী সেতুর উচ্চতা হারাবে আইফেল টাওয়ারকেও! ঘোষণা রেলমন্ত্রী’র

ফের এক ইতিহাস গড়ার মুখে ভারতীয় রেল। এমনিতেও এই প্রতিষ্ঠান ঐতিহাসিক। ২০২১ সালের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের চেনাব নদীর উপর তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল পৃথিবীর এই উচ্চতম রেল সেতুর।
গগনচুম্বী এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন গত বছর করোনা মহামারীর কারণে সেতুর কাজ পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে এখন তা জোরকদমে চলছে। তিনি জানিয়েছেন সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই সেতু। ২০২২ সালের মধ্যে এই সেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরু হয়ে যাবে।
Infrastructural Marvel in Making: Indian Railways is well on track to achieve another engineering milestone with the steel arch of Chenab bridge reaching at closure position.
It is all set to be the world’s highest Railway bridge 🌉 pic.twitter.com/yWS2v6exiP
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) February 25, 2021
উল্লেখ্য, চেনাব নদী থেকে এই রেল সেতুর উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ৩৫৯ মিটার। আর এটির প্রস্থ্যে দৈর্ঘ্য ৪৬৭ মিটার।
সরকারি আধিকারিকেরা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর উচ্চতম সেতুর উচ্চতা যা আছে, তার থেকেও উঁচু হতে চলেছে এটি। উধমপুর কাটরা সেকশন, বানিহাল কাজিগন্দ সেকশন ও কাজিগন্দ রারাম্মুলা সেকশনে ইতিমধ্যে কাজ হয়ে গিয়েছে বাকি কাজ ২০২২ সালের মধ্যে হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৭৪ কিলোমিটার টানেলের মধ্যে ইতিমধ্যে ১২৬ কিলোমিটার টানেলের কাজ শেষ হয়েছে। কাশ্মীরের উন্নতিতে ২০১৫ সালে যে বিশেষ প্যাকেজের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেই প্যাকেজের মধ্যে থাকা অর্থই খরচ করা হয়েছে এই প্রকল্পের কাজে। কাশ্মীর আর্থ সামাজিক উন্নতি করতে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রক। এই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ১২৫০ কোটি টাকা। সেতুটির উচ্চতা প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের থেকেও বেশি। এই সেতুর মূল আর্চের নকশা শুরু হয় ২০১৭ সালে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন খাড়া পাহাড়ের ওপর এই রেলসেতু যে কোনও শক্তিশালী বিস্ফোরণকে সহ্য করতে পারবে। একইসঙ্গে ভূমিকম্পের তীব্রতা যদি ৮ রিখটার স্কেল ছাড়িয়ে যায় তাহলেও কোনও ক্ষতি হবে না এই সেতুর।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই সেতু তৈরীর কাজ খুব একটা সহজ ছিল না। পাহাড় ফাটিয়ে প্রথমে হেলিপ্যাডের তৈরি করা হয়। যন্ত্রপাতি বয়ে নিয়ে আসা হয় সেনা কপ্টারে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কম করেও ১২০ বছর কোনও রকমের আঁচর আসবে না এই সেতুতে। ভূ-স্বর্গের নতুন পরিচয় হতে চলেছে এই রেল সেতু।