দেশ

‘দ্রৌপদী মুর্মু খুবই ভালো, তবে আমি নেত্রীর কথামতোই ভোট দিয়েছি’, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়া নিয়ে ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য শিশির অধিকারীর

তাঁর মাথায় দল বিরোধী তকমা জুটেছে। যে কোনও সময় সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া, তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির (corruption) অভিযোগও। এহেন পরিস্থিতিতে এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এক ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করে বসলেন কাঁথির তৃণমূল (TMC) সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)।

তবে শুধু শিশির অধিকারী বলা ভুল। ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করলেন শিশির অধিকারীর পুত্র তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। আজ, সোমবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন দু’জন। ভোট দিয়ে দুই সাংসদই জানালেন যে তারা তাদের দলের নির্দেশ মেনেই ভোট দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলবিরোধী তকমা হটাতেই এই এমন মন্তব্য করেছেন বাপ-বেটা।

দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী আদতে বিজেপিতে রয়েছেন নাকি তৃণমূলে, আট নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। তৃণমূল লোকসভার স্পিকারের কাছে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ করার জন্য চিঠিও পাঠিয়েছে। এমন আবহে এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশিরের জবাব, “অনেকে অনেক কিছু বলছেন। কিন্তু আমি কোনও দলের পতাকা হাতে নিইনি। আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব”।  

দিব্যেন্দু অধিকারীও একইরকম মন্তব্যই করেছেন। এদিকে শিশির এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “সাংসদপদ রক্ষা করতে কৌশলী, বিভ্রান্তিকর মন্তব্য। ব্যালটে কী হয়েছে তা ওঁরা জানে আমরাও জানি”।

ক্রস ভোটিং নিয়ে তৃণমূলের এই দুই সাংসদের দিকে নজর ছিল সকলেরই। তারা এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেবেন নাকি বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট দেবেন, তা নিয়ে ধন্ধ ছিল বেশ। এর জবাবে এদিন শিশির অধিকারী জানান,”দ্রৌপদী মুর্মু ভাল প্রার্থী। যোগ্য প্রার্থী। তবে দল যাঁকে বলেছেন তাঁকেই ভোট দিয়েছি। নেত্রীর নির্দেশ মতো ভোট দিয়েছি”।  

অন্যদিকে, এই একই কথা শোনা গেল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর মুখেও। তাঁর সাফ কথা, “আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছি”।

উল্লেখ্য, শোনা যাচ্ছিল যে বাংলার রাজ্যপালের পদে বসতে পারেন শিশির অধিকারী। সেই কারণে তিনি দিল্লি গিয়েছেন। এই জল্পনা উড়িয়ে শিশির অধিকারীর সাফ জবাব, “আমি চিকিৎসার জন্য দিল্লি এসেছি। এইমসে যাব। তবে আমার প্রশাসনিক কাজে দক্ষতা রয়েছে। যাঁরা দায়িত্ব দিচ্ছেন তাঁরা দয়া করে আমাকে দায়িত্ব দিলে, তা পালন করব”।

তবে প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনখড়ের বেশ প্রশংসাও করেন এই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা। বলেন,“উনি দক্ষ প্রশাসক। বাংলার সবচেয়ে যোগ্য রাজ্যপাল”। তাঁর কথায়, ধনখড় যোগ্য উপরাষ্ট্রপতি হবেন।

Back to top button
%d bloggers like this: