তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়িতে থেকে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা, সরকার ফেলতে চক্রান্ত করছে বিজেপি, দাবী কংগ্রেসের

গতকাল, শনিবার হাওড়ার পাঁচলার রানিহাটি মোড়ে এক কালো গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই গাড়িতে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। সেই উদ্ধার হওয়া টাকাকে ঘিরে ছড়িয়েছে বিতর্ক। এত টাকা কোথা থেকে এল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পাঁচলা থানায় রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। ইতিমধ্যেই সিআইডি ও আয়কর দফতরের আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছেছেন বলে খবর।
সূত্রের খবর, ওই গাড়ি থেকে কোট ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ, রবিবার সকালেই পাঁচলায় পৌঁছয় ওই তিন বিধায়কের পরিবার ও আইনজীবীরা। তবে অভিযোগ, বিধায়কদের সঙ্গে তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। বিধায়কদের পরিবারের দাবী, আদিবাসী উৎসবের জন্য বড়বাজার থেকে শাড়ি কিনতে এসেছিলেন ওই বিধায়করা। প্রত্যেক বছরই বিপুল সংখ্যক শাড়ি কেনা হয়।, এই টাকা নিয়ে রাজনৈতিক স্তরে চাপানউতোর বেড়েছে।
গতকাল, শনিবার রাতেই টাকার উৎস সন্ধান নিয়ে ইডিকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অভিযোগ, “ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলার জন্য টাকার খেলায় মেতেছে বিজেপি। কংগ্রেস ভাঙার জন্যই যে বিজেপি টাকা দিচ্ছিল তা স্পষ্ট। এখন ইডি কোথায় গেল?”
অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও টাকার উৎস নিয়ে বিজেপির দিকেই আঙুল তুলে দাবী করেছেন, “ঝাড়খণ্ডের সরকার ভাঙার জন্য বিজেপি টাকা দিয়েছিল। কোথায়, কীভাবে এই টাকা দেওয়া হয়েছে তা পুলিশ তদন্ত করুক। সত্যিটা বেরিয়ে আসবে”।
কংগ্রেসের প্রচার বিভাগের প্রধান তথা বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ টুইটারে লেখেম, “ঝাড়খণ্ডেও অপারেশন লোটাসের চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তাঁদের সেই পরিকল্পনা হাওড়ায় ফাঁস হয়ে গিয়েছে। দিল্লির হাম দো সরকার মহারাষ্ট্রে একনাথ-দেবেন্দ্রকে নিয়ে যা করেছে, ঝাড়খণ্ডেও তাই করতে চেয়েছিল”। এই একই কথাই বলেছেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস প্রধান রাজেশ ঠাকুরও। তিনি জানিয়েছেন যে বিষয়টি নিয়ে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
তিন বিধায়কের পরিবার জানিয়েছেন যে এই টাকার প্রয়োজনীয় নথি তাদের কাছে রয়েছে। প্রত্যেক বছরই আদিবাসী উৎসব, দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে নিজেদের বিধানসভা এলকায় শাড়ি বিতরণ করেন বিধায়করা। কলকাতার বড়বাজার থেকেই সেই শাড়ি কেনা হয়। সেই শাড়ি কিনতেই ওই তিন বিধায়ক এসেছিলেন।
তবে একটা খটকা থেকেই যাচ্ছে। বিধায়কদের পরিবার যতই বলুক না কেন যে ওই টাকা শাড়ি কেনার জন্য ছিল কিন্তু ওই গাড়ি তো আসলে কলকাতা থেকে জামতাড়া ফিরছিল। আর যদি শাড়ি কিনতেই আনা হয়ে থাকে ওই টাকা, তাহলে গাড়িতে কেন একটিও শাড়ি মিলল না। এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ইডি আধিকারিকরা।