বহিষ্কারের পর মুখ খুলছেন পার্থ, এসএসসি দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূলের অন্য শীর্ষনেতারাও জড়িত, কাদের দিকে ইঙ্গিত করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী?

মন্ত্রিত্ব পদ হারিয়েছেন। দল থেকেও বহিষ্কৃত হয়েছেন। হারানোর মতো কিছু নেই। সেই কারণেই হয়ত এবার এক এক করে মুখ খুলতে শুরু করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সিদ্ধান্তকে তিনি ‘সঠিক’ বলেছেন বটে, কিন্তু দলের প্রতি যে তিনি বেশ মনঃক্ষুণ্ণ, তা বেশ বোঝাই যাচ্ছে।
ইডির মাধ্যমে আইএএনএস-এর তরফে খবর মিলেছে যে মন্ত্রিত্ব পদ খোয়ানোর পর থেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি সূত্রের খবর, পার্থ দাবী করেছেন যে এই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের নানান শীর্ষনেতারাও জড়িয়ে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছেন পার্থ। তাঁর দাবী, তিনি স্রেফ একটা ঢাল মাত্র।
বলে রাখি, গত শুক্রবার ইডি তল্লাশি চালায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এদিনই রাতে পার্থর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ও গয়না। এর পরদিন অর্থাৎ গত শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতাকে গ্রেফতার করে ইডি। আগামী ৩রা আগস্ট পর্যন্ত তারা ইডির হেফাজতে থাকবেন। এসবের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব ও তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ইডি-র সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রথমের দিকে তদন্তে সহযোগিতা না করলেও, এখন দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পত তিনি তদন্তে সহযোগিতা শুরু করেছেন। পার্থর দাবী, এইসব টাকা তার কাছে শুধু রাখতে দেওয়া হয়েছিল। এই টাকা তাঁর নিজস্ব টাকা নয়। যে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, সেই টাকা তৃণমূল দল নিয়ে কাজে লাগিয়েছে।
ইডি আধিকারিকরা এও জানিয়েছেন যে পার্থ দাবী করেছেন যে শুধুমাত্র এসএসসি দুর্নীতিই নয়, তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা আরও অন্যান্য দুর্নীতির সঙ্গেও যুক্ত। এমনকি তিনি এও বলেন যে দলের নানান নেতারা রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করেও নানান সময় টাকা তুলেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কার করলেও, তৃণমূল যে কোনওভাবেই কলঙ্কমুক্ত হতে এখনই পারছে না, তা বেশ স্পষ্ট।