কে দেখাশোনা করবে? পক্ষাঘাতে আক্রান্ত স্ত্রীকে মুক্তি দিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খু’ন, পরে নিজেও আ’ত্ম’ঘা’তী ৭৭ বছরের বৃদ্ধ

মঙ্গলবার সকালেই কলকাতার বুকে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। আবাসন থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির দেহ। স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে খু’ন করে তারপর নিজে আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আ’ত্ম’হ’ত্যা করেন বৃদ্ধ, এমনটাই প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির মৃত্যু নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য।
কী ঘটেছে গোটা ঘটনাটি?
মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে কলকাতার আনন্দপুরের নোনাডাঙার বাল্মিকি আম্বেদকর আবাসনে। সেই আবাসনেই থাকতেন বছর ৭৭-এর অমূল্য সমাদ্দার ও তাঁর স্ত্রী বছর ষাটেকের গীতা সমাদ্দার। তাদের দুই মেয়ে। দু’জনেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মাঝেমধ্যে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন তারা।
জানা গিয়েছে, গত ১০ বছর ধরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত গীতাদেবী। প্রায় শয্যাশায়ীই তিনি। নিজেই স্ত্রীয়ের দেখাশোনা করতেন অমূল্যবাবু। তবে কিছুদিন আগেই তাঁর হৃদযন্ত্রের রোগ ধরা পড়ে। আজই চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করাতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আজ সকালেই মৃতদেহ উদ্ধার হল দম্পতির।
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
আবাসনের বাসিন্দাদের কথায়, নিজের হার্টের সমস্যার কথা জানতে পেরেই হয়ত বৃদ্ধ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি হয়ত ভেবেছেন, তিনি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়লে স্ত্রীয়ের দেখাশোনা কে করবে? সেই কারণেই বাধ্য হয়ে হয়ত স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খু’ন করে নিজেও পাঁচতলা আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ দেন বৃদ্ধ।
ঘটনা সকলের নজরে আসায় সকলে তড়িঘড়ি অমূল্যবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যান বটে। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে ফ্ল্যাটে অমূল্যবাবুর স্ত্রীর দেহ পড়ে রয়েছে। দেহদুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।