‘ক্ষমতা থাকলে আমাকে সংবাদমাধ্যমের সামনে জেরা করুন, গ্রেফতার করে দেখান’, কর্মসূচি ছাড়ার আগে সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি অভিষেককে বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা যাবে, বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর আজ, শুক্রবার অভিষেককে নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। আগামীকাল, শনিবার তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে আজই তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি বন্ধ রেখে কলকাতা ফিরছেন তৃণমূল সাংসদ। তবে এর আগে সিবিআইকে একপ্রস্থ চ্যালেঞ্জ জানালেন তিনি।
এদিন সোনামুখীতে রোড শো ছিল অভিষেকের। সেই রোড শো থেকে কলকাতা ফেরার আগে সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বলেন, “আমায় সংবাদমাধ্যমের সামনে জেরা করুন। পারবেন? ক্ষমতা আছে? জনতার আদালতে জেরা করুন দেখি কত ক্ষমতা”। এখানেই থেমে থাকেন নি তিনি। অভিষেক আরও বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আমায় ৪৮ ঘণ্টা সময় দেবে। কিন্তু তা করেনি। তবে আমি মাথা নত করার লোক নই”।
সিবিআইয়ের এই তলব নিয়ে বিজেপিকেও একহাত নেন অভিষেক। বলেন, “আসলে নবজোয়ারের সাফল্য বিজেপির সহ্য হচ্ছে না। জেনে রাখুন, আমি আপনাদের কাছেই শুধু মাথা নত করব। আর কারও কাছে নয়। অন্য কোনও মামলায় না পেরে আমাকে এখন এসএসসি কেলেঙ্কারিতে জড়াতে চাইছে। সিবিআইয়ের ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুক”।
অভিষেকের কর্মসূচিতে যাতে ছেদ না পড়ে, সেই কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আজকের জন্য বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরের সভায় ভারচুয়ালি যোগ দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একথা জানিয়ে অভিষেক বলেন, “নেত্রী সব জানার পর আমাকে বলেন, চিন্তা করিস না। তোর বদলে ওই সভা আমি ভারচুয়ালি করব”।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা বলেন, “তোমরা আমায় আটকাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ময়দানে নামিয়ে দিলে। ভাল করেছ”। সিবিআই, ইডির উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, “এক বছর পর বিজেপি থাকবে না। কিন্তু সিবিআই থাকবে, ইডি থাকবে, দেশের সংবিধান থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সিবিআইকে বলছি, মেঘনাদের মতো মেঘের আড়ালে না থেকে, সামনে আসুন। দরকারে পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিন”।
অভিষেককে সিবিআইয়ের তলব নিয়ে খোঁচা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। টুইট করে তিনি লেখেন, “জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হব, ফাঁসির মঞ্চে চড়ব আবার অব্যাহতি চাইতে কোর্টেও যাব। এক মুখে এতরকম কথা। নির্দোষ হলে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতায় এত ভয় কেন? আগেই সহযোগিতা করলে ২৫ লাখের থাপ্পর হজম করে CBI-এর কাছে যেতে হত না। বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ”।