পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর দাবী নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন শুভেন্দু-অধীর

পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা নিয়ে যে বিরোধীরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে, এমন জল্পনা আগেই ছিল। আর সেটাই এবার সত্যি হতে চলেছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, অনলাইনে মনোনয়ন জমা এমনকি মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর দাবী নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
গতকাল, বৃহস্পতিবারই সরকারিভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। আগামী ৮ই জুলাই রাজ্যে এক দফাতেই হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট আর ফলাফল প্রকাশিত হবে ১১ই জুলাই। ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে রাজ্য পুলিশেই আস্থা রাখতে চলেছে কমিশন। আর সেটাতেই আপত্তি বিরোধীদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভোট করতে হবে, দীর্ঘদিন ধরেই এমনটাই দাবী জানিয়ে আসছে বিরোধীরা। এবার সেই দাবী তুলেই আদালতে গেলেন অধীর চৌধুরী।
অধীরের দাবী, পঞ্চায়েত ভোটে মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যাতে অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। তিনি মামলায় এও আর্জি জানান, যদি মহকুমাশাসকের কাছে মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হয়, তাহলে যেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা জেলা বিচারকের কাছে মনোনয়ন পেশের সুযোগ মেলে। এই বিষয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে আজ, শুক্রবার মামলা দায়ের করার আবেদন করেছেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি।
শুধু কংগ্রেসই নয়, আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বিজেপিও। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবীর পাশাপাশি মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর দাবী আর্জি জানাতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ, শুক্রবারই এই মামলা দায়ের হতে পারে আর শনিবার এর শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমন দ্রুততার সঙ্গে নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করায় বেশ অসন্তুষ্ট বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের মৃত্যু হল। সর্বদল বৈঠক নেই, নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আলোচনা নেই, অথচ দিন ঘোষণা হয়ে গেল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলের আঞ্চলিক শাখার মতো আচরণ করছে”।
অন্যদিকে আবার বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যও টুইট করে বলেছেন, “মাত্র ৬ দিন ৪ ঘণ্টা করে মনোনয়ন দেওয়ার সময়সীমা। অথচ, মনোনয়ন দিতে হবে প্রায় ৭৪ হাজার আসনে। এর চেয়ে বিনা ভোটে ফলাফল ঘোষণা করে দিতে পারতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”।