‘হিন্দু বলেই অমর্ত্য সেনকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বের করে দেওয়া হয়’, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের সিএএ নিয়ে মন্তব্যে আক্রমণ তথাগত রায়ের

সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। তাঁর এহেন মন্তব্যে বেশ ক্ষুব্ধ বিজেপি, বাম, কংগ্রেস। তিনি এও বলেন যে ভারতে যদি সিএএ কার্যকর হয়, তাহলে দেশে সংখ্যালঘুদের ভূমিকা কমবে ও সংখ্যাগুরুরা উৎসাহ পাবে। অমর্ত্য সেনের এই মন্তব্যের পর এবার তাঁকে সরাসরি আক্রমণ শানালেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় (Tathagata Roy)।
বরাবরই সিএএ-র বিরোধিতা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেন, “আমি যতটুকু বুঝতে পারছি (সিএএ কার্যকর করার পিছনে) বিজেপি মূল লক্ষ্যটা হল সংখ্যালঘুদের ভূমিকাকে কমিয়ে ফেলা। আর তাদেরকে গুরুত্বহীন করে দেওয়া। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এটা করা হচ্ছে। তার সঙ্গেই হিন্দু সংখ্যাগুরুদের ভূমিকাকে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সংখ্য়ালঘুদের ভূমিকাকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে”।
অমর্ত্য সেনের এহেন মন্তব্যের পর তাঁকে তোপ দাগেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। টুইটারে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এই ব্যক্তিটি ঢাকার স্কুলে যেত। এই ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবারকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কেন? কারণ তিনি হিন্দু। তা সত্ত্বেও তিনি কখনও ওই নিপীড়ন নিয়ে মুখ খোলেননি। কেন? কারণ তিনি গান্ধী–নেহরু–বামেদের কথিত ধর্মনিরপেক্ষতার গ্রাহক হয়েছিলেন। যা তঞ্চকতার আর একটি নাম”।
এই গোটা বিষয় নিয়ে নোবেলজয়ীর প্রতিক্রিয়া, “ভারতের মতো একটি দেশ যেটিকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে গণ্য করা হয় সেখানে এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। কাউকে সংখ্যালঘু হিসাবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত একপেশে ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে। আসলে এটা অত্যন্ত খারাপ মতলবে করা হচ্ছে”।
বলে রাখি, ২০১৯ সালের ১১ই ডিসেম্বর সংসদে পাশ করানো হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘু হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে এখনও পর্যন্ত সেই আইন লাগু হয়নি।