রাজ্য

কাকিমার সঙ্গে ‘অবৈধ’ সম্পর্ক বিজেপি নেতার, জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন স্ত্রী

স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চান তিনি। এই দাবী নিয়েই গতকাল, বুধবার জামাইষষ্ঠীর দিনই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন স্ত্রী। এদিনই বড় ট্রলি ব্যাগ নিয়ে এসে শ্বশুরবাড়ির সামনে বসে পড়েন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ঘোঘোমালির বাদুরবাগানে।

একথা জানার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ। কিন্তু ওই মহিলাকে অনেক বোঝানোর পরও তাঁকে আয়ত্তে আনতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়িতে।

ওই মহিলার স্বামী সঞ্জীব ঘোষ হলেন দার্জিলিং জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি। বছর তিন আগে স্ত্রী শ্বেতার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু এখন শ্বেতার অভিযোগ, স্বামী তাঁর সঙ্গে এক ছাতের তলায় থাকতে রাজী নন।

আরও পড়ুন- সারারাত ভারী বৃষ্টি দক্ষিনবঙ্গে, জল জমে কলকাতার রাস্তায়, এখনই থামছে না বৃষ্টি, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতর 

শ্বেতার আরও অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে তাঁর কাকিমার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি সেই সম্পর্কে বাধা দিতে গেলে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি হয়। এমনকি, তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ শ্বেতার। শ্বেতার কথায়, বিয়ের পড় থেকে কাকিমার সঙ্গে স্বামীর ঘনিষ্ঠতা দেখে অবাক হন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, কাকি-শাশুড়ি নাকি তাঁর স্বামীকে রজ বাড়িতেই মদ্যপান করাতেন।

এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন শ্বেতা। তাঁর অভিযোগে সাতদিন জেলও খাটতে হয় ওই বিজেপি নেতাকে। গত ৭ই জুন জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। এরপরই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন তিনি।

একথা জানতে পেরেই শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেন শ্বেতা। কিন্তু তাঁকে সেখানে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন তিনি। তাঁর কথায়, “বিয়ের পর কাকি শাশুড়ির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আমি আপত্তি করি। এরপরই আমার উপর অত্যাচার শুরু হয়। আমাকে মারধর করা হয়। আমি সংসার করতে চাই। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা আমাকে বাধা দিচ্ছে”।

তবে স্ত্রীয়ের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা সঞ্জীব। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ তুলছে শ্বেতা। উপরন্তু লকডাউনে আয় কমে যাওয়ায় আমার উপর মানসিক অত্যাচার করেছে ও। পুলিশের কাছে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। সে কারণে জামিনে মুক্তি পেয়েই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছি আমি। ‌ওঁকে কিছুতেই বাড়িতে ঢুকতে দেব না”।

Back to top button
%d