‘কখনও রাস্তায়, কখনও ফুটপাতে বসে আন্দোলন করেছি, আজ প্রশ্নের উত্তর অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে’, পার্থর গ্রেফতারির পর বললেন ববিতা

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির জেরে গতকাল, শনিবার ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এরপরই রাজ্যের মন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন চাকরি না পেয়ে প্রতিবাদ জানানো শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়লেন না ববিতা সরকারও। বললেন, “প্রশ্নের উত্তর অনেকটা স্পষ্ট হয়েছ”।
প্রথম থেকেই ববিতা অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে তাঁর জায়গায় চাকরি পেয়েছে অন্য একজন। সেই নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়েন ববিতা। অবশেষে নিজের যোগ্যতার জেরে আইনি পথেই নিজের প্রাপ্য পদ পেয়েছেন ববিতা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর এবার ববিতা বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমরা অনেকে মিলে যুদ্ধ শুরু করেছিলাম। কখনো রাস্তায়, কখনো ফুটপাতে আবার কখনো বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলন চালিয়ে গেছি। বারবার আমাদের জানানো হয় আমরা নাকি “অকৃতকার্য”! কিন্তু প্যানেলে যাদের নাম ছিল তাদের কিভাবে চাকরি হয়েছে আমরা সেটাই শুধু জানতে চেয়েছিলাম। আজ সেই প্রশ্নের উত্তর অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে। আজ যে সব ছবি সামনে আসছে এগুলি কি তারই উত্তর”
তাঁর কথায়, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমরা যে মামলা করেছিলাম এটি তারই একটি অংশ। আমিও চাকরি পেয়েছি আইনি পথে। ভবিষ্যতে যদি আরও কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় সেক্ষেত্রে আইন কারোরই ঊর্ধ্বে নয়”।
বলে রাখি, এসএসসি-তে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ববিতা সরকার। তাঁর অভিযোগ ছিল তাঁর নম্বর বেশি থাকা সত্ত্বেও সেই মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নম্বর বাড়িয়ে তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে শেষমেশ আদালতে আইনি লড়াইয়ে জিতে যান ববিতা। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয় মন্ত্রীর মেতে অঙ্কিতা অধিকারীর ও সেই চাকরি পান ববিতা সরকার।