রবিবারের সকালে তীব্র বোমা বিস্ফোরণ, উড়ে গেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাদ, শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক

বেশ কিছুদিন হয়েছে ভোট মিটেছে। কিন্তু রাজ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা যেন থামছেই না। এবার রবিবার সাতসকালে বিস্ফোরণ ঘটল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের আইসিডিএস সেন্টারে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ওই কেন্দ্রের ছাদ উড়ে যায়। রবিবার হওয়ায় বন্ধ ছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। এর জেরে বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভিতরেই কী বোমা মজুত ছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কী ঘটনা ঘটেছিল এদিন?
আজ, রবিবার সাতসকালে মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জের লক্ষ্মীজোলায় বন্ধ আইসিডিএস সেন্টারে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বোমা বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাদ। কেন্দ্রটি এদিন বন্ধ থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। যদিও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির মূল ভবনটি বন্ধ থাকলেও বাইরে শিশুদের ক্লাস হয়।
কী জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা?
এদিন বিকট শব্দে ফেটে যায় বোমা। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন গোটা এলাকাটি ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। পাশাপাশি উড়ে গিয়েছে সেন্টারের ছাদ। খবর যায় পুলিশে। পরে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ এসে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক
এই ঘটনায় সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে একে অপরকে দোষারোপের পালা চলছে। এটা অস্বীকার করা যায় না যে আজ ছুটির দিন বলেই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। অন্যদিন হলে হয়ত মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেত। কারণ ভিতরে ক্লাস না চললেও বাইরে শিশুদের ক্লাস হয়। সেই কারণে নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এই ঘটনায় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মহম্মদ ফাকরুদ্দিন বলেন, “সকালে পড়াতে বেরিয়ে শুনছি। এলাকায় গিয়ে আইসিডিএস সেন্টারটি ঘুরে দেখি। বাড়িটির ছাদ বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে। অনেকগুলো বোমা ফেটেছে। আসলে পঞ্চায়েতের সময় গণ্ডগোল করে সিপিএম এলাকা দখল করতে চেয়েছিল। না পেরে এখন অশান্তি করছে”।
অন্যদিকে, সিপিএম কর্মী মেহেদি হাসানের কথায়, “ওরা যে বলছে ভোটের পরে অশান্তি করার জন্য এইসব করেছে সিপিএম। এটা সত্যি নয়। যদি বোমা রাখা রয়েছে জানত তাহলে কি এখানে পড়াশোনা হত? আসলে ওদের দলের লোকজনই এখানে রাত্রিবেলা আড্ডা মারে। ওদেরই কাজ এইসব”।