‘বিদেশে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, কোনও টেনশন দিতে চাই না’, নবান্নে গোপন চিঠি পাঠানো বিতর্কে বললেন রাজ্যপাল

রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। আর বিগত কয়েকদিন ধরে আবার শুরু হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপালের দ্বৈরথও। শিক্ষামন্ত্রীকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি শানিয়েই সি ভি আনন্দ বোস বলেছিলেন, “মধ্যরাতে কী করি দেখুন”। আর সেদিনই মধ্যরাতে গোপন চিঠি গিয়ে পৌঁছয় নবান্নে। সেই চিঠি প্রসঙ্গে এবার প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ যাচ্ছেন, তাই তাঁকে কোনও টেনশন দিতে চান না তিনি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার মধ্যরাতে রাজ্যপালের পাঠানো জোড়া চিঠি নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়। জোড়া চিঠির একটি যায় দিল্লিতে আর অপরটি যায় নবান্নে। সেই চিঠির বিষয়বস্তু আদতে কী, তা জানতে উদগ্রীব হয়ে পড়েন সকলে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, রাজ্যে শিক্ষা পরিকাঠামো, দুর্নীতি নিয়েই হয়ত কেন্দ্র সরকারের কাছে নালিশ জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজ্য-রাজভবন সংঘাত
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত তুঙ্গে। রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই বা রাজ্যের মনোনীত কাউকে উপাচার্য না করার অভিযোগ ওঠে সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। রাজ্যপাল অযাচিত হস্তক্ষেপ করছেন বলে দাবী করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এরপরই ‘মধ্যরাতের ধামাকা’ হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যপাল। আর সেদিন রাতেই রাজভবন থেকে চিঠি যায় নবান্নে।
চিঠি প্রসঙ্গে কী বললেন রাজ্যপাল?
সেই চিঠির বিষয়বস্তু কী, তা কেউ জানেন না। এবার আজ, সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই গোপন চিঠি প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, “গোপন জিনিস গোপন থাকা ভালো। মুখ্যমন্ত্রী বিদেশে যাচ্ছেন, তাঁর ব্যাগের বোঝা বাড়াতে চাই না। টেনশন দিতে চাই না। ফিরলে কথা হবে। এই বিষয় প্রাপক উত্তর দিতে পারেন”। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার স্পেন সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরবেন ২৩ সেপ্টেম্বর।
শুধু তাই-ই নয়, এদিন ফের একবার ব্রাত্য বসুকে খোঁচা দিলেন সি ভি আনন্দ বোস। বললেন, “ব্রাত্য বসু জুনিয়র অ্যাপয়ন্টি। ওঁর কথার জবাব দিই না”। আসলে, রাজ্যপাল মধ্যরাতের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর টুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছিলেন ব্রাত্য বসু। লিখেছিলেন, “সাবধান সাবধান! শহরে নতুন রক্তচোষা বেরিয়েছে। নাগরিকরা সতর্ক থাকবেন”। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী একে বলে রাক্ষস প্রহর! তার অপেক্ষায় রয়েছি”। সেই টুইটের জবাবেই মন্তব্য করেন এদিন রাজ্যপাল।