পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অতি তৎপর সিবিআই, রাজ্যের ১৪টি পুরসভায় অভিযান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের, তল্লাশি ফিরহাদের দফতরেও

পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল। রাজ্যের বেশিরভাগ পুরসভাতেই নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ ওঠে। এবার এই মামলায় তল্লাশি অভিযান শুরু করল সিবিআই। আজ, বুধবার সকালেই সিবিআইয়ের একটি দল পৌঁছয় ধৃত অয়ন শীলের বাড়িতে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে নানান নথি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই জানতে পারে যে, পুর নিয়োগেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অফিস ও বাড়ি থেকে এমন কিছু তথ্য উদ্ধার হয় যা থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে এই নিয়োগেও বড় গরমিল হয়েছে। তদন্তে জানা যায়, অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজেনের মাধ্যমে রাজ্যের নানান পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন অযোগ্যরা। সেই দুর্নীতির শিকড় পর্যন্ত পৌঁছতে তৎপর সিবিআই।
জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার সকালে সিবিআই আধিকারিকদের বেশ কয়েকটি দল হানা দেয় সল্টলেকের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, চুঁচুড়া, শান্তিপুর, নিউ বারাকপুর, টিটাগড়, পানিহাটি ও দক্ষিণ দমদম পুরসভা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে সেখানে চলছে ম্যারাথন তল্লাশি। অনেক নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
মূলত নিয়োগ সংক্রান্ত নথিই দেখা হচ্ছে। এদিন পুরসভাগুলির অন্তর্গত নানান এলাকা ঘুরে দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীও রয়েছে সঙ্গে। এদিন চুঁচুড়ায় অয়ন শীলের ফ্ল্যাট ও সংস্থাতেও যায় সিবিআই। তবে অয়ন শীলের বাড়ি সিল করা ছিল। সেই কারণে বাড়িতে যাওয়ার আগে সিবিআই যায় থানায়। নথি খতিয়ে দেখার জন্যই রাজ্যজুড়ে এই তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন নিজাম প্যালেস থেকে চারটি গাড়ি এবং একটি সিআরপিএফ-এর গাড়ি প্রথমে সিজিও কমপ্লেক্সে আসে। তারপর সল্টলেকের বিকাশ ভবনে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে ঢোকেন। এই দফতরেই বসেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই তল্লাশি প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আগে থেকে কিছু বলা ঠিক নয়। তবুও বলছি পুরোটাই রাজনীতি হচ্ছে। এইভাবে তদন্তে মাথা গলানো ঠিক নয়”।