মিড ডে মিলে মরা সাপ-টিকটিকি-কেঁচো, বিতর্কের মাঝেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন মোদী, চাপে মুখে মমতা

মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। কখনও মিড ডে মিলের রান্না করা খাবারে মেলে মরা সাপ, টিকটিকি ও কখনও আবার মিড ডে মিলের জন্য রাখা চালের মধ্যে মিলেছে মরা ইঁদুর। এমন নানান অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। এহেন সব বিতর্কের মাঝেই এবার মিড ডে মিল প্রকল্প নিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তৈরি জয়েন্ট ভিউ টিম। চলতি মাসেই আসছে কেন্দ্রের এই প্রতিনিধি দল।
এর আগে আবাস ও ১০০ দিনের কাজে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল রাজ্যে। আর এবার মিড ডে মিল প্রকল্প খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। প্রতিনিধি দলকে যে ২৬টি বিষয় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেসবেরমধ্যে রয়েছে পড়ুয়াদের পুষ্টি, প্রকল্পে শিক্ষক, অভিভাবক, সমাজসেবী সংগঠন ও স্কুল পরিচালন কমিটির ভূমিকা, প্রকল্পে ফুড করপোরেশনের সঙ্গে রাজ্যের আর্থিক লেনদেন।
জানা গিয়েছে, এই দলে পুষ্টিবিদ, কেন্দ্রীয় আধিকারিক ছাড়াও রাজ্যের আধিকারিকরা থাকবেন। সূত্রের খবর, রাজ্যের জন্য বরাদ্দ টাকা সব স্কুলে ঠিকঠাক যাচ্ছে কী না, প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি মিশন প্রকল্পে রাজ্যে পরিকাঠামো কেমন, রান্নাঘরের পরিকাঠামো, রাঁধুনি ও সহায়িকাদের ব্যাঙ্ক লেনদেন, খাদ্যদ্রব্য বিলির পদ্ধতি, রান্না ঘরের পরিস্থিতি কেমন, এমন নানান বিষয় খতিয়ে দেখতে আসছে এই দলটি।
বিগত বেশ কিছুমাস ধরেই রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে মিড ডে মিল নিয়ে নানান অভিযোগ উঠে আসছে। মিড ডে মিলের সামগ্রী চুরি তো বটেই, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মিড ডে মিলের জন্য রান্না করা খাবারে মরা সাপ, টিকটিকি মেলার মতো ঘটনা। এহেন পরিস্থিতিতে যে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের এই সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত,। গত বছরই প্রধানমন্ত্রী পোষণ প্রকল্পের পক্ষে মত দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই প্রকল্পে দেশের ১১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির পড়ুয়াদের মিড ডে মিল দেওয়া হয়। পাঁচ বছরের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। সরকারের মিড ডে মিল সংক্রান্ত যে প্রকল্প আছে তার সঙ্গে এই প্রকল্পকে যুক্ত করা হয়। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র সরকার সিংহভাগ খরচ বহন করে এই প্রকল্পে।