আব্বাসকে জামাই আদর, অধীর পেলেন অবহেলা! ভোট-জোটের নাটকে সরগরম ব্রিগেড সমাবেশ

এবারে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন অভিনব হতে চলেছে। একদিকে যেমন তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে অন্যদিকে মাঠে খেলতে নামবে বাম কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের জোট। আজকে ছিল বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ, স্বাভাবিকভাবেই সেখানে জোটসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কোথাও গিয়ে দেখা গেল তাল কেটেছে জোটের মধ্যেই। আব্বাস সিদ্দিকী মঞ্চে আসতেই তাকে ঘিরে সিপিএমের নেতারা যেরকম আদর-আপ্যায়ন শুরু করে দেন তাতে রীতিমতো বিব্রত হয়ে পড়েন সেই সময়ে বক্তৃতা দিতে থাকা কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
সে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। অধীর রঞ্জন চৌধুরী সেই সময় মঞ্চে ইনকিলাব জিন্দাবাদ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে হাওয়া বেশ গরম করে ফেলেছিলেন। হঠাৎ করেই দেখা গেল আব্বাস সিদ্দিকী গাড়ি থেকে নেমে মঞ্চের দিকে আসছেন এবং নিরাপত্তারক্ষীরা তার আশেপাশের ভিড় সামলাতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন। সামনে আব্বাসের দলের সমর্থকরা চিল চিৎকারে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। সিপিএমের কেষ্টুবিষ্টুরা তখন দৌড়ে গিয়ে আব্বাসকে জামাই আদর করে মঞ্চে নিয়ে আসছেন। স্বভাবতই অধীরের বক্তৃতায় পড়ে ছেদ। তিনি রীতিমত রেগে গিয়ে কথা অসম্পূর্ণ রেখেই নেমে আসতে চান। “আমি আর বলব না”, বলে চলে আসার উপক্রম করতেই বিমান বসু এসে গোটা পরিস্থিতির সামাল দেন। রীতিমত হাত ধরে অনুরোধ করে তাকে বক্তব্য শেষ করতে বলেন।
স্পষ্ট হয়ে যায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনোভাবেই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কোনো মিল নেই। এরপরে আব্বাস সিদ্দিকী নিজের বক্তৃতাতেও বলেন, আমি কংগ্রেসের কথা বললাম না। আমি ভাগিদারী করতে এসেছি। তোষণ করতে নয়।
ফলে এই ভোটে তৃণমূলকে হারাতে যে আব্বাসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে বাম তাতে গিয়ে তারা ঐতিহাসিক ভুল আবার দ্বিতীয়বারের মত করবে না তো? বামপন্থী মানুষরাই বলছেন এই কথা।