পঞ্চায়েত ভোটের মুখেই ফের দলবদল রাজ্যে, তৃণমূলের হুমকি-শাসানির ভয়ে বিজেপিতে যোগ সিপিএম প্রার্থী ও তাঁর অনুগামীদের

সিপিএমের তরফে প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের লোকজন তাঁকে শাসাচ্ছিল, নানান হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে নিজের দলকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবী সিপিএম প্রার্থী মামনি সরকারের। সেই কারণে দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ওই সিপিএম প্রার্থী।
জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেণুনগরে সিপিএমের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মামনি সরকার। কিন্তু ভোটের মাত্র ৮ দিন আগে দলের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দলবদল করলেন সেই সিপিএম প্রার্থী। গতকাল, বুধবার তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি বাপী গোস্বামী।
কিন্তু কেন হঠাৎ দল ছাড়লেন মামনি সরকার?
১৭/৪০ নং বুথে আগে থেকেই বিজেপি প্রার্থী রয়েছে। তা সত্ত্বেও বিজেপি প্রার্থীর হাত মজবুত করতে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন মামনি সরকার ও তাঁর অনুগামীরা। সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ, ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকেই ক্রমাগত তাঁকে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। এই বিষয়টি সিপিএম নেতাদের জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরও কেউ তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। এমন অসহায় অবস্থায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন তিনি, এমনটাই জানালেন মামনি।
এই যোগদানের বিষয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, “এই মহিলা ভোটে মনোনয়ন দাখিল করার পর থেকে তাঁকে হুমকি দিচ্ছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। কিন্তু এই অসহায় অবস্থায় তার দল পাশে নেই। ওনারা দেখছেন আমরা কীভাবে মাটি কামড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছি। তাই উনি আমাদের দলে যোগ দিলেন”।
যদিও সিপিএমের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পীযূষ মিশ্রের কথায়, “সিপিএম প্রার্থী হওয়ার পর থেকে ওই মহিলা তার পরিবারে নির্যাতিত হয়েছেন বলে শুনেছি। আসনে ওনাকে একপ্রকার চাপ দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো হয়েছে। কিন্তু ব্যালটে আমাদের সিম্বল থাকবে। মানুষ আমাদের সিম্বলকে ভোট দেবে। আর ওই বুথে জেতার পাশাপাশি ওই অঞ্চল আমরা দখল করব”।
অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। তৃণমূলের জেলা সম্পাদক বিকাশ মালাকার এই প্রসঙ্গে বলেন, “দলের তরফে কেউ হুমকি দেয়নি। ওসব মিথ্যে প্রচার। আসলে রাম আর বাম এক। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে”।