রাজ্য

ক্রমেই আলগা হচ্ছে বীরভূমের মাটি! ‘কেউ খোঁজ রাখে না’, অভিমান ব্যক্ত করে অনুব্রতর অনুপস্থিতিতেই তৃণমূল ছাড়লেন তাঁর ডেপুটি

প্রায় এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেল কেউ নাকি তাঁর খোঁজ রাখে না। দলে তাঁর কোনও গুরুত্বই নেই। এই কারণে অভিমানের বশে দল ছাড়লেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা (Biplab Ojha)। অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) এখনও বীরভূমের জেলা সভাপতি রয়েছেন।

কিন্তু আজ, মঙ্গলবার তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিপ্লব। এদিকে আজই বীরভূমের নলহাটিতে সভা রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ফলে বিপ্লব ওঝার গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার জল্পনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

অনুব্রত মণ্ডল আপাতত জেলে রয়েছেন। আর এমন আবহে জেলা সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিপ্লব ওঝা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যখন সমস্ত রাজনৈতিক দল নিজেদের জমি শক্ত করার লড়াইয়ে উঠেপড়ে লেগেছে, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অনুব্রতর গড়ে এমন ভাঙনের জেরে বেশ চিন্তায় শাসক শিবির।

দলত্যাগ প্রসঙ্গে বিপ্লব ওঝা বলেন, “আমি তৃণমূলের কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সংস্পর্শ ত্যাগ করছি। তার পিছনে কারণ রয়েছে। দলে এক বছর ধরে কোনও গুরুত্ব নেই। আমাকে কোনও মিটিং-মিছিলে ডাকা হয় না। মনে হচ্ছে দলে আমি বোঝা হয়ে গিয়েছে”। তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন কী না, তা প্রশ্ন করায় দলত্যাগী নেতা জানান যে এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে কিছু ভাবেন নি তিনি। অর্থাৎ, বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ার জল্পনা জিইয়ে রাখলেন বিপ্লববাবু।

বলে রাখি, একসময় বীরভূম জেলা কংগ্রেসের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন বিপ্লব ওঝা। এরপর তিনি ২০০৭ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। ২০০৯ বীরভূম লোকসভায় তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ শতাব্দী রায় জেতার পরেই ওই সালে প্রথম সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূল যোগদান করেন বিপ্লব ওঝা।

গোটা রাজ্যের মধ্যে সেই সময় একমাত্র নলহাটি পুরসভা তৃণমূলের প্রথম দখলে আসে। পরবর্তী সময়ে তাঁকেই নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। এরপর নলহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছিল বিপ্লববাবুকে। কিন্তু বামফ্রন্টের কাছে পরাজিত হন তিনি।

Back to top button
%d bloggers like this: