‘উনি রক্তের রাজনীতিই করেন, মনে মনে চান অ্যাক্সিডেন্ট হোক’, ফের মমতাকে বেলাগাম আক্রমণ দিলীপের

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা নিয়ে এখন বাংলা ও ওড়িশা উত্তাল। গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে এই ঘটনা। গতকাল, মঙ্গলবারও কটক গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনা নিয়েও মমতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার দময়ন্তী সেনের বদলি থেকে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিমানবন্দরে আটকানো, এই নানান ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
আজ, বুধবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে নানান ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। এদিন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। মেদিনীপুরের সাংসদের দাবী, “উনি মনে মনে চান অ্যাক্সিডেন্ট হোক, খুনখারাপি হোক। উনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীনও যখন যা ঘটেছে, অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন। উনি রক্ত নিয়েই রাজনীতি করেন”।
করমণ্ডল দুর্ঘটনার জন্য দার্জিলিং সফর বাতিল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে দিলীপের দাবী, “ভাইপো উত্তরবঙ্গ গিয়ে দেখে নিয়েছে ওখানে তৃণমূল উঠে গেছে। ফলে ওখানে গিয়ে ছবি হবে না। তাই ছবি যেখানে ভালো উঠবে উনি সেখানে যান”।
এখানেই শেষ নয়। দিলীপের দাবী দময়ন্তী সেনের বদলির পিছনেও রাজনীতি কাজ করছে। তাঁর কথায়, “ওনার নিরপেক্ষতা ও যোগ্যতা প্রশ্নাতীত। এর জন্য শাস্তিও পেতে হয়েছে। এখনও তাই হচ্ছে। দময়ন্তীর মতো অফিসার পুলিস বিভাগের গর্ব। তাঁদের মাথা নোয়াতে পারছে না বলে এদিক ওদিক করে কাজই করতে দিচ্ছে না”।
দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের পাল্টা দিতে ছাড়ে নি তৃণমূলও। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, “রক্ত নিয়ে রাজনীতি সিপিএমের আমলে হয়েছে। গণহত্যা হয়েছে একের পর এক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এর প্রতিবাদ করেছেন, তখন দিলীপবাবু হাফ প্যান্ট পড়ে আরএসএস করছেন। তাই ওনার পক্ষে জানা সম্ভব নয়”।