এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়! দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর মধ্যস্থতাকারীকে গ্রেফতার ইডির, লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের সন্দেহ

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। এছাড়াও, গ্রেফতার করা হয়েছে এক মধ্যস্থতাকারীকে যিনি পার্থর ঘনিষ্ঠ। এবার ইডির হাতে গ্রেফতার আরও এক মধ্যস্থতাকারী সুব্রত মালাকার।
এসএসসি মামলায় তল্লাশি করতে গিয়েই অর্পিতা মুখপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। সেই নিয়ে গোটা রাজ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। আর এরপর থেকেই শিক্ষা আধিকারিক ও অন্যান্য ব্যক্তিদের উপরেও নজর রাখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার এই তালিকায় যুক্ত হল সোদপুরের বাসিন্দা সুব্রত মালাকারের নামও।
আজ, সোমবার সকালেই সোদপুরে রাজেন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা সিএ সুব্রত মালাকারের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। প্রায় ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এরপর গ্রেফতার করা হয় এই মধ্যস্থতাকারীকে। ইডি সূত্রে খবর অনুযায়ী, সুব্রতর বাড়ি থেকে একাধিক পাসবই উদ্ধার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁর নামে ১০-এর বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবেই কাজ করতেন সুব্রত মালাকার। তাঁর বাড়িতে পৌঁছে তাঁর স্ত্রী ও বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এরপর ব্যাঙ্ক কর্মীদের নিয়ে সুব্রতর একটি অফিসেও হানা দেয় ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, কিছুদিনের মধ্যেই এলাকা ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন সুব্রত। তবে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিল ইডি। সুব্রতর বাড়ি থেকে পাওয়া পাসবইগুলি তদন্তে আলোর দিশা দেখাবে বলে আশা রাখছেন ইডি তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইডির অনুমান, সুব্রতর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা অন্যত্র চলে যেত। কে বা কারা এই টাকা লেনদেন করত, তা খুঁজে বের করতে সক্রিয় ইডি। সুব্রতকে গ্রেফতার করার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অনেক তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।