মহিলা পরিচালিত রেস্তোরাঁয় ঢুকে দাদাগিরি তৃণমূল নেতার দাদার, মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ, মালকিনের স্বামীকে মারধর

মহিলা পরিচালিত রেস্তোরাঁ, এটাই সেই রেস্তোরাঁর বিশেষত্ব। সেই রেস্তোরাঁতেই ঘটে গেল এক ঘৃণ্য ঘটনা। সেই মহিলা পরিচালিত রেস্তোরাঁতে ম’দ খেয়ে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিদায়ী প্রধানের দাদার বিরুদ্ধে। রেস্তোরাঁর কর্মীদের অভিযোগ, মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণও করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার ফুলিয়া প্রফুল্লনগর এলাকায়। সেখানেই ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রয়েছে একটি মহিলা পরিচালিত রেস্তোরাঁ। অভিযোগ, গতকাল, শুক্রবার রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ শান্তিপুর ব্লকের নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান সুদীপ প্রামাণিকের দাদা অমৃত প্রামাণিক এবং তাঁর সাগরেদ নারায়ণ ঘোষ ওই রেস্তোরাঁয় যান। সেখানে ঢুকেই শুরু হয় তাদের দাদাগিরি।
জানা গিয়েছে, তারা দু’জনেই তখন ম’দ খেয়ে ছিলেন। রেস্তোরাঁতে ম’দ্য’প অবস্থায় ঢুকে মহিলা কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন তারা, এমনটাই অভিযোগ। সেই সময় রেস্তোরাঁর মালকিনের স্বামী অচিন্ত্য বিশ্বাস প্রতিবাদ করতে যান। সেই কারণে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ওই দুই ব্যক্তি। তাঁর ফোনও ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এদিন রাতেই শান্তিপুর থানায় এই বিষয়ে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশ গিয়ে তৃণমূলের বিদায়ী প্রধানের দাদার সেই সাগরেদকে গ্রেফতার করে। কিন্তু পুলিশ পৌঁছনোর আগেই ওই জায়গা থেকে চম্পট দেন তৃণমূল নেতার দাদা। ফলে তাকে ধরতে পারে নি পুলিশ।
এদিকে দাদার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন বিদায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুদীপ প্রামাণিক। তাঁর কথায়, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দাদা এমন কাজ করতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা”।