রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ‘ওটা তো মাছের খাবার’, দাবী দলীয় নেতৃত্বের

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এর আগে ফের রাজ্যে উদ্ধার বোমা তৈরির মশলা। এমনিতে গত কয়েকমাস ধরে রাজ্যে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এমন আবহে কাটোয়ার গুসুম্বো গ্রামে এক তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বোমা তৈরির মশলা। এই ঘটনায় কাটোয়া আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীকে গ্রেফতার করে কাটোয়া থানার পুলিশ।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই এলাকায় এলাকায় রুটমার্চ শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল, সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত কাটোয়ার মুলটি,নতুনগ্রাম, গুসুম্বা প্রভৃতি গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গুসুম্বা গ্রামে মিঠুন দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, মিঠুন দাসের স্ত্রী স্বপ্না দাস আলমপুর পঞ্চায়েতের ২৩৮ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রার্থী।

সূত্রের খবর, মিঠুনবাবু মাছের ব্যবসা ও মাছচাষ করেন। তার বসবাসের ঘরের পাশে একটি চালাঘর রয়েছে। সেখানে মাছচাষের জন্য রাখা থাকে নানান প্রয়োজনীয় মালপত্র, মাছের খাবার, ওষুধ। ওই ঘরের ভিতর থেকেই বেশকিছু বোমার মশলা, বোমা বাঁধার জন্য, পেরেক, পাথরকুচি, সুতলি নজরে পড়ে পুলিশের। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এরপর মিঠুন দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মিঠুন দাসের বাড়িতে বোমা বাঁধার মশলা ছিল। পুলিশ যাওয়ার খবর পেয়ে সেগুলি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ওই বুথেরই সিপিএম প্রার্থী রীনা দাসের অভিযোগ, ভোট লুঠ করার জন্য তৃণমূলের লোকজন এলাকায় এই বোমা জড়ো করছিল। তবে তৃণমূল প্রার্থীর দাবী, তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আলমপুর অঞ্চলের সভাপতি নীলমনি বসু বলেন, “প্রার্থীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাছের খাবার উদ্ধার করেছে বলে জেনেছি। বোমার মশলা পায়নি বলেই শুনেছি”। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করে মিঠুন দাসকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

Back to top button
%d bloggers like this: