প্রশংসনীয় উদ্যোগ! বিনা পয়সায় চালু ‘গরীবের বুফে’, মেনুতে রয়েছে মাছের কারি থেকে চিকেন কষা-সহ ১০ রকমের পদ

চালু হল ‘গরীবের বুফে’। মাছ, মাংস, ডিম সবই রয়েছে মেনুতে। নিজের হাতেই বেড়ে নিয়ে খাওয়ার সুযোগ। এমনই এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। জলপাইগুড়ি শহরে এমন এক উদ্যোগ চালু হওয়ায় খুবই খুশি সেখানকার দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা সদর হাসপাতালের পাশেই এই খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, গতকাল, বৃহস্পতিবার থেকে জলপাইগুড়িতে এই গরীবের বুফে শুরু হয়েছে। এদিন শতাধিক মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন এই বুফেতে খাবার খেতে। নিজেদের পছন্দমতো খাবার বেড়ে খেলেন তারা। পেটপুরে মাছ-মাংস ও অন্যান্য সুস্বাদু খবার খেতে পেরে বেজায় খুশি সকলে।
এদিন এই বুফের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, ডিমের কারি, চিকেন কষা, রুই মাছের কারি, চাটনি, পাঁপড়, রসগোল্লা, গোলাপ জাম। দেওয়া হয়েছিল মিনারেল ওয়াটারও। বিনামূল্যে দশ পদের খাবার খেয়ে সকলকেই আশীর্বাদ করলেন গ্রিন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তাদের।
এদিন পেটপুরে খেয়ে এক রিক্সা চালক জানান, “আমরা গরিব মানুষ। রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাই। আজ বিনামূল্যে দুপুরের খাওয়ার খুব ভালই খেলাম”। এক পথচারীর কথায়, তাঁর পরিবারের লোক হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে দেখতে তিনি ধূপগুড়ি থেকে এসেছেন। এসেই দেখলেন এই অভিনব ব্যবস্থা। হাসিমুখেই বললেন, “এই সংস্থা খুবই ভাল কাজ করছে। এতে অসহায় মানুষদের খুবই সুবিধা হবে”।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে কী জানানো হয়?
গ্রিন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অঙ্কুর দাস জানান, “প্রাথমিকভাবে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ দিন চালু থাকবে এই কর্মসূচি। আগামীদিনে এই কর্মসূচি প্রতিদিন চালানোর লক্ষমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সাধারণত রিক্সা চালক,ভ্যান চালক, শ্রমজীবী মানুষের কথা চিন্তা করে এই কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি”।
তাঁর সংযোজন, “আমরা এতদিন বিভিন্ন যায়গায় প্যাকেট করে খাবার দিতাম। সেখানে কোনও দিন মাছ,কোনও দিন মাংস, কোনও দিন ডিম দিতাম। কিন্তু সকলে সব কিছু খায় না। তাই অনেক সময় তাঁরা খাবার নষ্ট করতেন। এখানে আমরা সবকিছু রেখেছি। নিজে হাতে বেড়ে নিয়ে যার যা ইচ্ছা তাই খাবে। এতে আর খাওয়ার নষ্ট হবে না। প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছি”।