রাজ্য

হোটেল রুম থেকে উদ্ধার বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেই খু’ন, দাবী পরিবারের, ক্রমেই বাড়ছে রহস্য

হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ। আজ, শনিবার কল্যাণীর এক হোটেল উদ্ধার হয় বিজেপি নেতার দেহ। এই মৃত্যুকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপি নেতার বাবার দাবী, রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই তাঁর ছেলেকে খু’ন করা হয়েছে। এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য ক্রমেই বাড়ছে।

কে এই বিজেপি নেতা?

গুড়াপের বিজেপি নেতা সুদীপ ঘোষ, বয়স ৩৭ বছর। গুড়াপ থানা ধনেখালি বিধানসভা গুড়বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চোপা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ধনেখালি মণ্ডল ২-এর মণ্ডল সভাপতি সুদীপ। সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমিতির প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি।

কী ঘটেছে গোটা ঘটনাটি?

পরিবার সূত্রে খবর, গত তিনদিন ধরে বুদ্ধপার্কের কাছে একটি হোটেলে ছিলেন সুদীপবাবু। আজ, শনিবার সকালে হোটেলের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেলের ঘরে ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সুদীপবাবুর দেহ উদ্ধার করা হয়।  ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি তাঁকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে।

এরপর গুড়াপে তাঁর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। সুদীপের পরিবার ও বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, সুদীপকে খু’ন করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করার ছেলে নয়। তাদের প্রশ্ন, রাত দুটোর সময় কী করে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানতে পারল যে সুদীপ আত্মহত্যা করেছেন? পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

কী জানাচ্ছে সুদীপের পরিবার?

সুদীপের মা নিভা ঘোষ বলেন, “ছেলে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় বলে গেল তাড়াতাড়ি ফিরবে। গতকালও ফোনে কথা হল কাঁদছিল। কেন জানি না। তবে বলল, মা চিন্তা কোরো না।আমাকে বলেছিল মগড়ায় আছে। বিজেপি করে বলে হয়ত ওর কেউ শত্রু ছিল। আজ সকালে বাড়ি ফিরবে বলে ছিল।পুলিশ এসে খবর দিল ছেলে আর নেই”।

সুদীপের বাবার কথায়, ছেলে দলের হয়ে খুব ভালো কাজ করে, দলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে দমাতে না পেরে তৃণমূল খুন করিয়েছে। তিনি এও জানান, ছেলের বন্ধুর মতো ছিলেন তিনি। কথা হতো নিয়মিত। কিন্তু ছেলেকে এভাবে হারাতে হবে, ভাবতে পারেননি তিনি।

কী প্রতিক্রিয়া বিজেপির? 

এই ঘটনায় বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, “ওর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তো রয়েছে। আমার মনে হয় এর পিছনে কোনও চক্রান্ত আছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে সমস্তরকম চেষ্টা করা হবে”।

Back to top button
%d bloggers like this: