রাজ্য

দ্বিতীয় বিয়ে করেও মিটল না সাধ, শ্বশুরবাড়ি ফেরার নাম করে পালালেন গৃহবধূ, কেঁদেকেটে পুলিশের দ্বারস্থ দ্বিতীয় স্বামী

বাপের বাড়ি থেকে বলে বেরিয়েছিলেন যে শ্বশুরবাড়ি ফিরবেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও শ্বশুরবাড়ি আর ফিরলেন না গৃহবধূ। এদিকে, তাঁর আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তাঁর স্বামী। দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশের। যেনতেন প্রকারে স্ত্রীকে ফিরে পেতে চান স্বামী। এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের সুত্রাগড় চুনুড়ি এলাকায়।

সূত্রের খবর, চুনুড়ির বাসিন্দা ২৩ বছরের জয়িতা দেবনাথের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পূর্বস্থলীর পারুয়িলা এলাকার লক্ষণ দেবনাথের। দু’জনেরই এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। দুই বাড়ির লোকজন দেখাশোনা করেই বিয়ে দিয়েছিল জয়িতা এবং লক্ষণের। জয়িতার প্রথম পক্ষের একটি পাঁচ বছরের সন্তান রয়েছে। স্বামী লক্ষণ দেবনাথ জানান, জয়িতার সন্তানকে আপন করে নিয়েছেন তিনি। কাজের সূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন লক্ষণ।

জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে বেরন জয়িতা। বলে জানা যে তিনি শ্বশুরবাড়ি ফিরছেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি না ফেরায় তাঁর বাবা ফোন করেন লক্ষণকে।

লক্ষণ দেবনাথ জানান, জয়িতা শ্বশুরবাড়িতে ফেরেননি। এরপরই শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে কার্যত উধাও জয়িতা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি তাঁর। জয়িতার সন্ধান পেতে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। শান্তিপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে।

লক্ষণ জানান, “বেশিরভাগ সময় আমার স্ত্রী ফোনে ব্যস্ত থাকত। তবে ও অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত কিনা তা আমার জানা নেই, জানার চেষ্টাও করিনি। তবে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি বেড়াতে আসার নাম করে এভাবে বেপাত্তা হয়ে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি”।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের সংসারে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। বিয়ের পর থেকেই সুখেই সংসার করছিলাম আমরা। আমি কাজের জন্য বাইরে থাকি। ওই সংসার সামলায়। ছেলেটার দেখাশোনা করে। তবে ফোনে বেশি সময় কাটাত। কার সঙ্গে কথা বলত তা কোনওদিন জানতে চাইনি”।

লক্ষণের কথায়, “আমি স্ত্রী এবং সন্তানকে ফিরে পেতে চাই। বিষয়টি নিয়ে আমি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলাম”। মেয়ে ও নাতির চিন্তায় উদ্বেগে সময় কাটাচ্ছে জয়িতার পরিবারও। 

Back to top button
%d bloggers like this: