শুভেন্দুর হুঁশিয়ারির জের? আয়কর দফতরের হানা তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি ও কারখানায়, তুমুল হট্টগোল মুর্শিদাবাদে

হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এছাড়াও, সামশেরগঞ্জের গোবিন্দপুর ও ধুলিয়ান পুরসভার খরবোনার বিড়ির কারখানাতেও পড়ে আয়কর হানা। সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি কারখানার মালিক ও ধুলিয়ানের বিজলি বিড়ি কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ, বুধবার সকালে ওই তিনটি জায়গা ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সাড়ে দশটা নাগাদ ৬টি গাড়ি করে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেনের সুতি থানার অরঙ্গবাদের বাড়িতে হাজির হন।
জানা গিয়েছে, সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন জাকির হোসেন। ওই বাড়িতেই থাকেন জাকির হোসেনের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা। বাড়িতে ঢুকে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা বিধায়ক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতিটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন।
জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে বিড়ি, তেল ও নানান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। বেশ কয়েকজন আয়কর দফতরের আধিকারিক সেখানেও হানা দেন। জানা যাচ্ছে, ওই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির মালিকদের বিরুদ্ধেও আয়করে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুধুমাত্র জাকির হোসেনের বাড়ি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেই নয়, সামশেরগঞ্জের দুই বিড়ি কারখানার মালিকের বিরুদ্ধেও আয়কর না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বলে জানা গিয়েছে। আয়কর দফতরের আধিকারিকরা ওই দুই বিড়ি কারখানাতেও হানা দিয়েছেন বলে খবর।
বলে রাখি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে জঙ্গিপুরের বিধায়ক হন জাকির হোসেন। তবে মন্ত্রিসভায় আর জায়গা হয়নি তাঁর। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারির শিকার হন তিনি। সেই হুঁশিয়ারির পরই আয়কর হানা হল তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অনেকেই এই ঘটনার মধ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেরও গন্ধ পাচ্ছেন।