‘দিলীপ ঘোষ কাজের গতি কমাতে বলছিলেন, তাই বিজেপি ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী শরণাপন্ন হই’, নিজের দলছাড়ার কারণ নিয়ে বিস্ফোরক দাবী কৃষ্ণ কল্যাণীর

গত বছর বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা পিএসি-র চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani)। এবার সেই দলছাড়ার কারণ নিয়ে বিস্ফোরক দাবী করলেন তিনি। তাঁর কথায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সঙ্গে মতবিরোধের জন্যই বিজেপি ছেড়েছিলেন তিনি।
গতকাল, মঙ্গলবার রায়গঞ্জের গৌরীগ্রাম পঞ্চায়েতের একটি এলাকায় রাস্তার কাজের শিলান্যাস করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। সেখানেই বক্তব্য রাখার সময় বিজেপি ছাড়ার কারণ হিসেবে দিলীপ ঘোষের নাম করে কটাক্ষ শানান তিনি। বলেন, “আপনারা আমার উপর আস্থা রেখেছিলেন, বিশ্বাস রেখেছিলেন। আর আমাকে বিধায়ক বানিয়ে বিধানসভায় পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু আমার দলের চয়নটা ঠিক ছিল না। বিজেপির বিধায়ক হয়েও যখন কাজ করছিলাম, তখন হেস্টিংসে দিলীপ ঘোষ আমাকে উদ্দ্যেশ্য করে একটা কথা বলেছিলেন। জেলার স্পিডের চেয়ে বেশি স্পিডে কাজ করা যাবে না। আর শুধু কাজ করলে আর মানুষকে পরিষেবা দিলে ভোটে জেতা যায় না, ভোটে জিততে হলে আন্দোলন করতে হবে”।
কৃষ্ণ কল্যাণীর কথায়, “আমি সেদিনই বুঝে গিয়েছিলাম আমার চিন্তাধারার সঙ্গে এদের চিন্তাধারার মিল হবে না। তারপরেই আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলাম। আর তিনি একবারেই আমাকে আপন করে নিয়ে দলে সামিল করলেন। আর তাতে আমারও কর্তব্য ওনার হাত শক্ত করব, দলকে শক্তিশালী করব”।
তাঁর এহেন মন্তব্যের পাল্টা দেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “একজন বিধায়কের প্রথম দায়বদ্ধতা তার এলাকার মানুষের উপর। তাঁর এলাকার অধিকাংশ মানুষ তাঁকে সমর্থন করেছিলেন তাই তিনি বিধায়ক হয়েছেন। পার্টি পরে। সেই কারণে যে বইদায়ক শুধুমাত্র নিজের সুবিধার জন্য কোনও একটি কাউকে শিখন্ডি বানিয়ে নানা অছিলা তৈরি করে একদল থেকে অন্যদলে চলে যায় সেই বিধায়ক কতটা জনগণের প্রতি প্রতারণা করছেন এটা সহজেই বুঝে ওঠা যায়”।
রাহুল আরও বলেন, “যদি বিন্দুমাত্র লজ্জা ও সম্মানবোধ থাকত তাহলে ওনার উচিত ছিল ওই দলের বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে নতুন করে আবার নির্বাচন দাঁড়িয়ে ফিরে আসা। মানুষ কিন্তু বিজেপি হিসাব তাঁকে আর্শীবাদ করেছিলেন। উনি জনগণকে প্রতারণা করেছেন”।