‘দল দায়িত্ব দিলে আমি দাঁড়িয়ে থেকে লড়ব’, নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই শুভেন্দুকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ মদনের, পাত্তাই দিলেন না বিরোধী দলনেতা

দু’জনেই যুযুধান প্রতিপক্ষ। একে অপরের দলকে শানাতে কেউই পিছপা হন না। এবার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ জানালেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর কথায়, দল যদি তাঁকে দায়িত্ব দেয়, তাহলে তিনি যে কোনও সময় লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত।
গতকাল, রবিবার নন্দীগ্রাম বাজারের জানকীনাথ মন্দিরের সামনে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল। এদিনের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মদন মিত্র। এদিনের এই সভা থেকেই মদন শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, “কবে লড়তে চান, কোথায় লড়তে চান, দিন আর সময়টা বলুন। দল যদি আমাকে দায়িত্ব দেয় তাহলে আমি দাঁড়িয়ে থেকে লড়াই দেব”।
এদিন শুভেন্দুকে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা করার কথাও বলেন মদন। তাঁর কথায়, “আমি নন্দীগ্রাম থেকে মাটি নিয়ে যাব। আমি কন্টেনার আনতে পাঠিয়েছি। কারণ এর আগে পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র মুর্শিদাবাদ ছিল, যেখানে কয়েকজনের বেইমানের জন্যই ভারতবর্ষ ২০০ বছর পরাধীন ছিল”।
শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে মদন আরও বলেন যে শুভেন্দু যতদিন না প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন, তিনি নন্দীগ্রামের মাটি দিয়ে মাথায় তিলক এঁকে বেরবেন। এদিনই আবার নন্দীগ্রামের বয়ালে একটি অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারীও হাজির ছিলেন। মদনের কথার কোনও গুরুত্বই দিতে চাননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
অন্যদিকে, মদন প্রশ্ন তোলেন যে নারদা-কাণ্ডে নাম জড়ানো সত্ত্বেও শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে কোনও চিঠি কেন গেল না? মদনের দাবী, জীবন সাহার মোবাইলে যে দুর্নীতিবাজদের নাম রয়েছে, সেই তালিকার প্রথম সারিতেই শুভেন্দু অধিকারীর নাম ছিল। এই বিষয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই গদিচ্যুত হতে পারেন, সেই কারণে মদনকে আলাদা করে মন্তব্য করতে চান না তিনি।
এদিনের এই সভায় ডিএ আন্দোলন নিয়েও মুখ খোলেন মদন মিত্র। তাঁর কথায়, “আমরা সিপিএমের আমলে বহু আন্দোলন নিয়ে বিচার চেয়েছি। কখনও রাইটার্স থেকে ডাক পাইনি। কিন্তু আন্দোলনকারীদের নবান্ন ডেকেছে”। কেন্দ্রে কত টাকা ডিএ বকেয়া রয়েছে, সেই হিসাব দেওয়ার কথাও বলেন মদন।
কালিয়াগঞ্জ ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন কামারহাটির বিধায়ক বলেন, যা হয়েছে তা খুবই দুঃখের ও নিন্দার। প্রশাসন তদন্ত করছে, আসল দোষী ধরা পড়বে। মদনের কথায়, পশ্চিমবঙ্গে যে সমস্ত ভালো কাজ হচ্ছে, তার প্রচার হচ্ছে না।