‘বিজেপি অভিষেককে ভয় পেয়েছে, ওকে যদি আটকায় আমি নবজোয়ারে যাব’, অভিষেককে সিবিআইয়ের তলবে হুঙ্কার মমতার

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গতকাল, বৃহস্পতিবার আদালতের এই নির্দেশের পর আজ, শুক্রবারই অভিষেককে নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। আগামীকাল, শনিবার তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে আজই কর্মসূচি বন্ধ রেখে কলকাতা ফিরছেন তৃণমূল নেতা। এই নিয়ে এবার বিজেপি ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে একযোগে হুঙ্কার শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেকের কর্মসূচিতে যাতে ছেদ না পড়ে, সেই কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আজকের জন্য বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরের সভায় ভারচুয়ালি যোগ দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়াল বক্তৃতা দিয়ে তিনি বলেন, “অভিষেকের নবজোয়ারে বিজেপিতে ভাটা পড়েছে। তাই কিছু বজ্জাত নেতা কানে কানে ফিসফিস করছে। ভাবছে ওঁকে আটকে নবজোয়ার আটকে দেবে। অভিষেককে আটকালে আমি জেলায় জেলায় নবজোয়ারে যব। সেটাকে প্লাবন করব”।
মমতা আরও বলেন, “একটা ছেলে ২৫দিন ধরে নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাস্তায় পড়ে আছে। মানুষ আসছে। তাই ওঁকে আটকাতে চাইছে। আসলে সিবিআই, ইডি তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় পায়”।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক জায়গাতেই বানচাল হয়ে গিয়েছিল অভিষেকের কর্মসূচি। তা নিয়ে এদিন মমতা বলেন, “আমি ওঁকে ফিরে আসতে বলেছিলাম। ও তখন আমায় বলল, না ফিরব না। আমি যখন করব বলেছি, তখন করবই”।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আজকে শুধুমাত্র ডাকা হয়েছে। তাতেই যে আতঙ্ক তৃণমূলের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তাতে লক্ষ্মণ ভালো ঠেকছে না”।
শুক্রবার সোনামুখীতে রোড শো ছিল অভিষেকের। সেই রোড শো থেকে কলকাতা ফেরার আগে সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বলেন, “আমায় সংবাদমাধ্যমের সামনে জেরা করুন। পারবেন? ক্ষমতা আছে? জনতার আদালতে জেরা করুন দেখি কত ক্ষমতা”। এখানেই থেমে থাকেন নি তিনি। অভিষেক আরও বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আমায় ৪৮ ঘণ্টা সময় দেবে। কিন্তু তা করেনি। তবে আমি মাথা নত করার লোক নই”।