ইচ্ছা থাকলেই উপায়! ISRO-তে চাকরি পেলেন বনগাঁর ছেলে, জাতীয় স্তরে বাঙালির নাম উজ্জ্বল করলেন বিশ্বনাথ

ছোটো থেকেই দেশের স্বার্থে কাজ করার প্রবল ইচ্ছা ছিল তাঁর। অবশেষে নিজের সেই স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন বনগাঁর বিশ্বনাথ দাস। ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার ইসরো-তে চাকরি পেলেন তিনি। সহকারী কারিগর কৌশলী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে বিশ্বনাথকে। ফের একবার জাতীয় স্তরে বাংলার নাম উজ্জ্বল করলেন বিশ্বনাথ।
উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দীনবন্ধু নগরের বাসিন্দা বিশ্বনাথ। তাঁর বাবা বিবেক দাসের আর্থিক উপার্জন কম হলেও ছেলের পড়াশোনার সঙ্গে আপোষ করেন নি তিনি কোনওদিন। ২০১৪ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন বিশ্বনাথ। এরপর থেকেই নানান সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে থাকেন তিনি। দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে মিলল সাফল্য। ডাক এল ওই আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার ইসরো থেকে।
বিশ্বনাথের কথায়, মনের জোর, কঠোর পরিশ্রম, জেদ ও ঈশ্বরের উপর ভক্তি থাকলেই সাফল্য পাওয়া সম্ভব। ইসরোর মতো দেশের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে নিজের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তবে মিলবে সুযোগ। পরীক্ষার মাধ্যমেই এই কাজের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বনাথ।
তাঁর কথায়, সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু শারীরিক মাপঝোঁকে খামতি ছিল। সেই কারণে ইসরোতে যোগ দেওয়ার জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি। তৃতীয় বারের চেষ্টায় এল সাফল্য। তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বিশ্বনাথের বার্তা, আজকাল বেশিরভাগ তরুণ তরুণী মোবাইলে বেশি সময় অপচয় করে। ই-পড়াশোনায় বেশি ঝুঁকছেন। কিন্তু বই পড়ার কোনো বিকল্প হয় না বলেই মত বিশ্বনাথের। নিজের লক্ষ্য স্থির রেখে বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে গেলেওই সাফল্য ধরা দেবেই।
ইসরো-তে যোগ দিয়ে আগামীদিনে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চান বনগাঁর বিশ্বনাথ। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর এই সুযোগ পেয়ে বেজায় খুশি তিনি। তাঁর মা-বাবাও ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত। ছেলের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে খুশিতে চোখে জল আসে তাদের। পাড়ার ছেলের এই সাফল্যে খুশির হাওয়া এলাকাতেও। জানা যাচ্ছে, সব যদি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে দু’মাসের মধ্যেই নিজের কাজে যোগ দেবেন বিশ্বনাথ।