রাজ্য

বজবজ থেকে উদ্ধার ৫৫ হাজার কেজি বাজি, আদৌ কী বৈধ? খতিয়ে দেখতে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন

গত রবিবার সন্ধ্যেয় দক্ষিণ ২৪ পরগণার বজবজের মহেশতলা গ্রামে অবৈধ বাজি তৈরির কারখানার ঘটে বিস্ফোরণ। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের জেরে উত্তপ্ত এলাকা। এই ঘটনার পর রবিবার রাতেই সেখানে অভিযান চালায় ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। প্রচুর পরিমাণে বাজি ও বাজি তৈরির বারুদ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।

গতকাল, সোমবারই ঘটনাস্থলে যান সিআইডি আধিকারিকরা। বিকেল নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তারা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। প্রায় ৩৭ হাজার কেজি বাজি ও বাজি তৈরির সামগ্রী উদ্ধার করেন তখন তারা।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই পুরোটাই বেআইনি। পরে বাজি উদ্ধারের পরিমাণটা আরও বাড়তে থাকে। এই ঘটনায় বেচু মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে সোমবারই আদালতে পেশ করা হয়েছে। আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

জানা গিয়েছে, ওই এলাকা থেকে ৫৫ হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। অবৈধ বাজি মজুতের ঘটনায় ৯টি মামলায় এখনও পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। যদিও এক হাজার বন্ডে আদালত থেকে সকলেই জামিন পেয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্ট ও একাধিক ধারার অধীনে মামলা দায়ের হয়েছে।

প্রথমে ১৬ই মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত রবিবার ফের বজবজে বাজি তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ। এত বাজি কোথা থেকে আসছে, এর কী আদৌ বৈধতা রয়েছে? কোন নিয়মে চলছে বাজির কারখানাগুলি? এই সবকিছু খতিয়ে দেখার জন্য এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।

জানা গিয়েছে, এই বাজি বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য গতকাল, সোমবার নবান্নের তরফে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে এই কমিটি। এমএসএমই, পঞ্চায়েত, দমকল, পুরদফতর, স্বরাষ্ট্র দফতরের সদস্যরা থাকছেন এই কমিটিতে। বাজি ক্লাস্টার তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে রাজ্যের। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ক্লাস্টার তৈরি হলে, নজরদারি নিয়মিত হলে বেআইনি বাজি তৈরি হবে না বলেই বিশ্বাস।

Back to top button
%d bloggers like this: