রাজ্য

‘মোদীর সামনে কে দাঁড়াবে, তার জন্য একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে’, ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট প্রসঙ্গে কটাক্ষ দিলীপের

আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। এর আগে ফের বিরোধী ঐক্যে শান দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে মরিয়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরেছেন নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদব। এবার আসতে চলেছেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নিয়ে এবার কটাক্ষ শানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আজ, মঙ্গলবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে এই বিরোধী জোট নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ নানা বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে খোঁচা দিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “গতবার একই ঘটনা ঘটেছিল। মোদীর সামনে কে যাবেন? কেউ যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে। গতবার মমতা লাফালাফি করেছিলেন। সবাইকে মাছ ভাত খাইয়েছিলেন। তারপর তো ওঁর ১২ টা সিট কমে গিয়েছিল। তাই উনি এবার রাজি হচ্ছেন না। একটু হাওয়া দিলেই উনি অনেক সময় রাজি হয়ে যান। তাই একেক জন এসে হাওয়া দিচ্ছে। বলছে, দিদি আপনি রাজি হয়ে যান। ওঁকে আসরে নামানোর চেষ্টা চলছে। কেবল ওঁকে রাজি করাতে একেক সময়ে একেক জন কলকাতায় আসছে। কিন্তু উনি জেনে গেছেন, মোদীর সামনে গেলে হাওয়া খারাপ হয়ে যাবে”।

তাঁর এই নিশানা থেকে বাদ যান নি তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, “এদিকে বলছে আমাকে ফাঁসি দিয়ে দিন। এদিকে রক্ষাকবচ চাইতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। এ বেঞ্চ থেকে ও বেঞ্চ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আদালতের সময় নষ্ট করছেন। সরকারি পয়সা অপচয় করছেন। তাকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চাট্টিখানি কথা নয়। এই চালাকি সবাই বোঝে। একাধিক নেতা আগে এই চেষ্টা করেছেন। এ কোর্ট সে কোর্ট ঘুরে তারা ভিতরে গিয়েছেন। অপেক্ষা করুন। কাজ চলছে”।

এখানেই শেষ নয়, অভিষেককে আরও আক্রমণ শানিয়ে দিলীপ বলেন, “৩৬ বছরেই যদি কেউ এতো দুর্নীতি করে, ৭২ এ গিয়ে কি করবে? মোদী ৫০ বছর ধরে সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে আছেন। তাকে যারা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল, তারাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। উনি যেন ভুলে না যান, মোদী শাহ কে ফাঁসাতে কেস গুজরাট থেকে তুলে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারা সেখানেও গেছেন। কেউ রাস্তা অবরোধ করেনি। কেউ কোর্টের বিরুদ্ধে যায়নি। কেউ সরকারকে গালাগাল দেয়নি। আমরা আগুনের থেকে সোনা চকচকে হয়ে বেরিয়ে আসার মতো কোর্টে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে বেরিয়ে এসেছি”।

রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে চলেছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্য, “রাজ্যে নতুন কোনও শিল্প নেই। বোমা বন্দুকই এখানকার শিল্প। যেকোনও নেতার বাড়িতে বোমা ও মশলা পেয়ে যাবেন। এই লোকগুলো সব সমাজবিরোধী। পার্টির টিকিটে নেতা হয়েছে। অভ্যাস যায়নি। এরাই তৃণমূল কংগ্রেসকে টিকিয়ে রেখেছে। মানুষ যোগ্য জবাব দেবে”।

Back to top button
%d bloggers like this: