রাজ্য

‘দিদির রক্ষাকবচ’ কর্মসূচিতে এবার নিজেই জনগণের দুয়ারে হাজির হবেন মমতা, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় ‘খেলা’ মুখ্যমন্ত্রীর

কিছুদিন আগেই তৃণমূলের তরফে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। নাম ‘দিদির রক্ষাকবচ’ (Didir Raksha Kawaj)। এই কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’রা পৌঁছে যাবেন মানুষের দুয়ারে। এই কর্মসূচি ঘোষণার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন যে তিনি এই কাজে নিজে পথে নামবেন। সেকথাই এবার সত্যি হতে চলেছে।

গতকাল, বুধবার দক্ষিণ কলকাতায় ‘দিদির রক্ষাকবচ’ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। আগামী ১১ই জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ কলকাতার সাংগঠনিক জেলার দশটি বিধানসভা কেন্দ্রে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। এই অনুষ্ঠান পর্বেই এক বড় ঘোষণা করলেন দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাসবিহারী বিধানসভার বিধায়ক দেবাশীষ কুমার।

আসলে তৃণমূলের এই কর্মসূচি অনুযায়ী, দলকে জানানো হবে যে কোন কোন এলাকার মানুষ কী কী সরকারি সুবিধা পান নি বা পাচ্ছেন না। আমজনতার কী কী সমস্যা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করবে দলের তরফে পাঠানো ‘দিদির দূত’রা। এক কেন্দ্রের বিধায়ক যদি অন্য কেন্দ্রে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তাহলে মানুষ মন খুলে কথা বলতে পারবেন বলে মত তৃণমূলের। এদিন দেবাশীষ কুমার জানান যে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের গড়ে তিনি নিজেই যাবেন মানুষের সমস্যার কথা শুনতে।

এবার প্রশ্ন উঠছে যে পশ্চিম বেহালা অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে কে যাবেন? কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জেরে জেলবন্দি। এই কারণে সকলেরই কৌতূহল রয়েছে যে ওই কেন্দ্রে কাকে পাঠাবেন মমতা! ওই এলাকার মানুষের মনে কোনও ক্ষোভ রয়েছে কী না, তা জানতে চাওয়া হবে।

দেবাশীষ কুমারের কথায়, বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের জন্য আলাদা করে কাউকে বাছবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সূত্রের খবর, ওই এলাকায় হয়ত পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর ‘প্রিয়’ কানন অর্থাৎ শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। শোভন সরকারিভাবে এখনও তৃণমূলে ওয়াপসি না করলেও, তিনি যে ‘দিদি’র সঙ্গেই রয়েছেন, তা আর বুঝতে কারোর বাকি নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও যে বড় ‘খেলা’ হতে চলেছে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Back to top button
%d bloggers like this: