পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের ভাঙন শাসকদলে! ‘দল উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে’, অভিযোগ করে পদত্যাগ তৃণমূল পঞ্চায়েত উপপ্রধান ও অঞ্চল চেয়ারম্যানের

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এর আগেই ফের ভাঙন শাসক দলে। অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের তৃণমূল পঞ্চায়েত উপপ্রধান ও অঞ্চল চেয়ারম্যান। গতকাল, শুক্রবার হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোনের মাধ্যমে ব্লক সভাপতির কাছে নিজেদের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তারা। তাদের অভিযোগ, দল উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের রানীসরাই ১১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান গোবর্ধন হেমব্রম ও অঞ্চলের চেয়ারম্যান বীর সিং টুডু পদ সহ দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুকুমার জানার কাছে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোনের মাধ্যমে পদ ও দল ত্যাগের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তারা। তিনি অভিযোগ করে জানান যে কাজ করতে না পারার জন্যই দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
গোবর্ধন হেমব্রম জানান, “আমি উপপ্রধান। দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি আমার এলাকার উন্নয়ন করার প্রয়োজন আছে। সেটা করতে গিয়ে দল বিভিন্নভাবে আমাকে বাধা দেয়। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম”। তিনি আরও বলেন, “যতটা উন্নয়ন আমার এলাকায় হওয়ার কথা সেই অর্থে হয়নি এবং করতে দেওয়া হয়নি তাই সম্পূর্ণভাবে দল ছাড়লাম।” একই অভিযোগ বীর সিং টুডুর”।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এভাবে পঞ্চায়েত উপপ্রধান ও অঞ্চল চেয়ারম্যানের দলত্যাগের ঘটনায় যে দল বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। একদিকে গ্রামে গ্রামে চলছে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি। আর এরই মধ্যে ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা গোবর্ধন হেমব্রেমের এই দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে বৈ কী!
এই ঘটনা নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌরী শঙ্কর অধিকারী। তাঁর কথায়, “যাঁরা স্বচ্ছতার সঙ্গে দলে কাজ করবেন তাঁরা তৃণমূল দলে থাকতে পারবেন না। মানুষের কাছে মার খাওয়ার থেকে দল ছেড়ে নিজেদের প্রায়শ্চিত্ত করুক। তৃণমূলে থেকে চুরি করা যাবে মানুষের কাজ করা যাবে না”।
অন্যদিকে, এই গোটা ঘটনাটি নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন যে তারা কেন দলত্যাগ করলেন, সে বিষয়ে তিনি খোঁজ নেবেন। এর পাশাপাশি তিনি এও জানান যে তাদের দলত্যাগের ফলে কর্মসূচিতে কোনও প্রভাব পড়বে না।