বিজেপি কর্মীদের নবান্ন অভিযানে আসতে বাধা, ট্রেনে উঠতে দিল না পুলিশ, ধ্বস্তাধস্তি, পুলিশের চোখ আড়াল করে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা

আগামীকাল, ১৩ই সেপ্টেম্বর রয়েছে বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhiyan)। এই অভিযানের জন্য উত্তরবঙ্গের নানান স্টেশনে একাধিক স্পেশ্যাল ট্রেন পাঠানো হয়েছে বিজেপির তরফে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ (Tufangunj), আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়িতে পাঠানো হয়েছে এই স্পেশ্যাল ট্রেন (special train)। বিজেপির বুক করা সেই ট্রেনে চেপেই আগামীকাল নবান্ন অভিযানে আসার কথা বিজেপি কর্মীদের। কিন্তু ট্রেনে উঠতেই বাধা দিল পুলিশ।
বিজেপির তরফে দাবী করা হচ্ছে যে তারা স্টেশনে যখন আসছিলেন, সেই সময় সেই রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে রাখা হয়েছে। এমনও অভিযোগ ওঠে যে সেই রাস্তা থেকেই বিজেপি কর্মীদের আটক করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। এই ঘটনার জেরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এদিন তুফানগঞ্জে স্থানীয় বিধায়ক মালতী রাভা রায়ের নেতৃত্বে ট্রেন ধরতে যান বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু তাদের পথেই আটকে দেওয়া হয়। মালতী রাভা রায় বলেন যে তাদের অগণতান্ত্রিকভাবে আটকে দেওয়া হচ্ছে।
এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল এত ভয় পাচ্ছে কেন? আমাদের বুক করা ট্রেনে কেন চাপতে দেওয়া হবে না? এভাবে স্টেশনের মধ্যে পুলিশ বাধা দিতে পারে না”।
আলিপুরদুয়ারেও বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বেশ ধ্বস্তাধস্তি হয় পুলিশের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপির নবান্ন অভিযানের কোনও অনুমতি নেই। সেই কারণেই এই অভিযানে যাতে কোনও রকমের অশান্তির সৃষ্টি না হয়, সেই জন্যই আটকানো হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের।
তবে বিজেপি কর্মীরাও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। নবান্ন অভিযানে যাবেনই তারা। অনেকেই পেছনের রাস্তা দিয়ে ট্রেনে উঠতে চান। তাদের দাবী, পুলিশ তাদের থেকে টিকিট দেখতে চাইছে। পুলিশের টিকিট দেখার অধিকার নেই। তবে শেষ পর্যন্ত রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে ট্রেনে ওঠেন বিজেপি কর্মীরা।