রাজ্য

‘সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র না পেলে কোনওভাবেই প্রাথমিকে নিয়োগ সম্ভব নয়’, শিক্ষামন্ত্রীকে পাশে নিয়েই ফের স্পষ্ট জানালেন পর্ষদ সভাপতি

আদালতের মামলা জটের জেরে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে নিয়ে ফের একবার একথাই জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট থেকে যতক্ষণ না ছাড়পত্র মিলছে, ততক্ষণ প্রাথমিকে নিয়োগ সম্ভব নয়।

এদিন পর্ষদ সভাপতির এই বক্তব্যে সমর্থন জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। এদিন পর্ষদ সভাপতি ফের একবার স্পষ্ট করে দেন যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য সরকার উভয়েই প্রাথমিকে চাকরি দিতে আগ্রহী। কিন্তু প্রাথমিক টেটের ২০১৪ ও ২০১৭ সালের চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের মধ্যেই আইনি লড়াই চালাচ্ছেন যার জেরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না।

কী বলেন এদিন পর্ষদের সভাপতি?

এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বললেন, “সরকার চাকরি দিতে চাইছে। আমি দলে দলে প্রতিদিন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। ২০১৪ সালের ব্যাচ আসছে। তারা বলছে, শুধু আমাদের দিন স্যর, ২০১৭ সালের ব্যাচকে দেবেন না। আবার ২০১৭ সালের ব্যাচও আসছে। তারা বলছে, স্যর শুধু আমাদের দিন, ২০১৪ সালের ব্যাচকে দেবেন না। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে কোর্টে চলে যাচ্ছে। বোর্ডের বিরুদ্ধে নয়, বোর্ডকে পার্টি করা হচ্ছে”।

তিনি আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র না পেলে আমরা প্য়ানেল প্রকাশ করতে পারছি না। আশা করছি শীঘ্রই ছাড়পত্র পাবে”।

শিক্ষামন্ত্রীর কী বক্তব্য?

এদিন তাঁর বক্তব্যে সমর্থন জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের জন্য আমরা এখনও আটকে আছি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করব”। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী উভয়েই ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন যে তারা রাজ্য সরকার চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে আগ্রহী। শুধুমাত্র আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

Back to top button
%d bloggers like this: