লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে ভাঙছে গেরুয়া শিবির, দলীয় পদ ছাড়লেন বিধায়ক-সহ ৩০ বিজেপি নেতা, এবার কী দলবদল করে তৃণমূলে যোগ?

বিজেপিতে যেন পদত্যাগের হিড়িক লেগেছে। স্থানীয় নেতৃত্বের উপর আস্থা হারিয়ে দলের পদ ছাড়লেন বিজেপির জেলা সম্পাদক দুর্গা মুর্মু-সহ ৩০ জন বিজেপিন নেতা। এই দুর্গা মুর্মু আবার স্থানীয় বিধায়কও।
কেন এই পদত্যাগ?
শিলিগুড়িতে বিজেপির অন্তকর্লহ দীর্ঘদিনের। দুই বিধায়ক শংকর ঘোষ ও আনন্দ রায়বর্মণের গোষ্ঠীর মধ্যে চাপা দ্বন্দ্ব ছিলই। সম্প্রতি শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির দায়িত্ব পেয়েছেন অরুণ মণ্ডল। তিনি শংকর ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
অভিযোগ, অরুণ দায়িত্ব পাওয়ার পরই অযোগ্যদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন। যার জেরে চরমে ওঠে কোন্দল। একে একে পদ ছাড়লেন দলের ৩০ নেতা। সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই পদত্যাগী নেতৃত্বের ক্ষোভ প্রশমনের জন্য আগামী ২৮শে আগস্ট শিলিগুড়ি যাচ্ছেন।
আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। এখন সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিই সংগঠনের উপর জোর দিচ্ছে। সম্প্রতি বিজেপিও জেলায় জেলায় সংগঠনে রদবদল করেছে। শিলিগুড়িতেও হয়েছে রদবদল। এমন সময় দলের বিধায়ক ও এতজন নেতার পদত্যাগের কারণে বেশ চিন্তায় পড়েছে গেরুয়া শিবির।
কেন পদত্যাগ করলেন তারা?
পদত্যাগী নেতৃত্বর দাবী, দায়িত্ব পাওয়ার পর অরুণ মণ্ডল নাকি কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই গোষ্ঠী রাজনীতি শুরু করেছেন। তাদের অভিযোগ, রাজ্যকে এই বিষয়ে মৌখিকভাবে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সেকারণেই একযোগে পদত্যাগ করেছেন তারা। শিলিগুড়ি বিজেপির জেলা সম্পাদক তথা বিধায়ক দুর্গা মুর্মু বলেন, “নেতৃত্বকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নানাভাবে দলের ভেতরেই অসম্মানিত হতে হচ্ছে। তাই একযোগে সকলে দলের পদ থেকে সরে দাঁড়ালাম”।
এবার কী তবে দলবদলও করবেন এই পদত্যাগী নেতারা?
দলের বিধায়ক থেকে শুরু করে এতজন বিজেপি নেতার পদত্যাগের জেরে তাদের দলবদলের জল্পনাও তৈরি হয়েছে। তবে দুর্গা মুর্মু যদিও জানিয়েছেন যে তারা পদত্যাগ করলেও, দলবদল করছেন না এখনই। তাঁর কথায়, নেতৃত্ব কী পদক্ষেপ নেয়, তা দেখার পর পরবর্তী কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।