‘বৈশাখীকে ভয় দেখানো হচ্ছে’, স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে আদালত চত্বরে বান্ধবী বৈশাখীর ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন শোভন

বিবাহবিচ্ছেদের মামলার (divorce case) শুনানিতে সোমবার আদালতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Baishakhi Chatterjee)। সেখান থেকেই স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে (Ratna Chatterjee) তোপ দাগলেন তিনি। স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তিনি বলেন যে রত্না নাকি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Baishakhi Banerjee) ভয় দেখাচ্ছেন। এর পাল্টা দেন বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক।
দীর্ঘদিন ধরেই শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। গতকাল, সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে। এদিন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আদালতে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। বেশ কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ছিলেন তারা। আদালত চত্বরে প্রবেশ করেই ভিতরে চলে যান দু’জনে। বেরিয়ে শোভন দাবী করেন, আগের শুনানির দিন আদালত চত্বরে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তার নেপথ্যে রয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবী, তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে মামলায় সাক্ষ্য দিতে না পারেন সেই কারণেই তাঁকে ভয় দেখানো হয়। যদিও এসবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাননি। সেই কারণেই গতকাল, সোমবারও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আদালতে গিয়েছিলেন তিনি।
যদিও নিজের দিকে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। বেহালা পূর্বের বিধায়কের দাবী, শোভন চট্টোপাধ্যায় অসত্য কথা বলছেন। তিনি এও অভিযোগ তোলেন যে মিথ্যে বলে নিরাপত্তা নেওয়ার চেষ্টা করছেন শোভন-বৈশাখী।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের সোমবারও শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলার জন্য তারা গিয়েছিলেন আদালতে। সেদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈশাখী আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছিলেন যে রত্না চট্টোপাধ্যায় প্রচুর লোকজন নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন। তারা নানানভাবে ভয় দেখাচ্ছে তাঁকে।
বৈশাখীর অভিযোগ করেছিলেন, অনুমতি ছাড়াই তাঁর ছবি তোলা হচ্ছে। এই নিয়ে সরাসরি তিনি বিধায়ককে আক্রমণ করেন। রত্নার অনুগামীদের বিরুদ্ধে অশ্লীল মন্তব্য করার অভিযোগ আনেন বৈশাখী। পাল্টা রত্না বলেন, “ভয়ের কোনও কারণ নেই। উনি তো ছেলেধরা। কেউ ওনাকে কিছু করবে না”। রত্না এও জানান যে প্রয়োজনে আরও বেশি লোকজন নিয়ে যাবেন তিনি।
বলে রাখি, প্রায় গত পাঁচ বছর ধরে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ মামলা চলছে। অন্যদিকে অবশ্য শোভন ও বৈশাখী দু’জনেই নিজেদের সংসার গুছিয়ে নিয়েছেন। নিজের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবরর সম্পত্তি বৈশাখীর নামে লিখে দিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। অন্যদিকে আবার বৈশাখীও গোলপার্কে শোভনের ফ্ল্যাট কিনে নিয়েছেন।