‘আরে ও নন্দলাল’, সব সবজিই ১০০ ছুঁইছুঁই, সবজির অগ্নিমূল্য নিয়ে টুইট করে মমতার সুরেই তাঁকে চরম কটাক্ষ শুভেন্দুর

যে হারে সবজির দাম বেড়ে চলেছে, তাতে মধ্যবিত্তের পকেটে ছ্যাঁকা লাগছে রীতিমতো। বড় নোট ভাঙিয়ে বাজার করলেও ব্যাগ ভর্তি বাজার হয়না। গত সপ্তাহেও যে সবজির দাম ৩০ টাকা ছিল, এই সপ্তাহে তা ১০০ ছুঁইছুঁই। সবজির এমন অগ্নিমূল্য নিয়ে এবার রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই তাঁকে বিঁধলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
দিন কয়েক আগেই কলকাতায় কেন্দ্র বিরোধী মঞ্চ গড়ে ধর্নায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চ থেকে গ্যাসের দাম নিয়ে মোদী সরকারকে কড়া ভাষায় ছড়া কেটে বিঁধতে শোনা গিয়েছিল মমতাকে। বলেছিলেন, “ওহে নন্দলাল, ১২০০ টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল”। এবার তাঁর সেই সুরকে পাথেয় করেই পাল্টা রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শানালেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু টুইট করে লেখেন, “আরে ও নন্দলাল, গরীব মানুষের পাতে কি জুটবে শুধু নুনের সাথে মোদীজির দেওয়া বিনা পয়সার চাল”? তাঁর অভিযোগ, “একমাস পূর্বের বাজার দরের সঙ্গে বর্তমান বাজার দরের তফাৎ করলে বোঝা যাবে যে, হাটবাজারে আগুন লেগেছে। চড়া দামের ছ্যাঁকায় বাঙালি নাজেহাল। আনাজের দাম নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ও নাগালের বাইরে। এমনকী এ কথা বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না যে সবজির দাম এই মুহূর্তে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে”।
বিরোধী দলনেতার কথায়, “প্রশাসনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই আনাজের দাম মাত্রা ছড়িয়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন করেছিলেন। যার উদ্দেশ্য ছিল হঠাৎ করে বাজার হাটে শাক-সবজির দাম বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু আদতে এর প্রতিফলন কখনওই দেখা যায় না”।
শুভেন্দুর এই টুইটের পাল্টা দেয় শাসক শিবিরও। সবজির এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। সুফল বাংলার স্টলগুলিতে নিয়ন্ত্রিত মূল্যে সব ধরণের সবজি মিলছে বলে শুভেন্দুকে মনে করিয়েছে তৃণমূল। তবে শুভেন্দুর পাল্টা দাবী, এই সুফল বাংলার স্টলের সুফল বাংলার ৫ শতাংশ মানুষও পায় না।