রাজ্য

দীর্ঘ ১৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল! বঙ্গ থেকে আচমকাই ‘গায়েব’ শীত, উষ্ণ পৌষে তাপমাত্রা বাড়ল স্বাভাবিকের চেয়ে ৭ ডিগ্রি বেশি

পৌষ মাসে শেষ কবে এমন তাপমাত্রা ছিল, তা হয়ত কারোর সেভাবে মনেও নেই। তবে এবারের ডিসেম্বর তা মনে করাল। ২০০৪ সাল অর্থাৎ আঠারো বছর পর এই বছর ডিসেম্বর উষ্ণ। তাপমাত্রা বাড়ল স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আজ, মঙ্গলবার কলকাতার তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৬-৭ ডিগ্রি বেশি। কারণ এমন সময়টাতে তাপমাত্রা থাকে সাধারণত ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির কাছাকছি। তবে জানা যাচ্ছে আগামীকাল থেকে নামতে পারে তাপমাত্রার পারদ। বর্ষশেষে হয়ত শীতের দেখা মিলবে।

শেষ কয়েকদিন ধরেই সেভাবে শীতের অনুভূতি হচ্ছিল না। সোয়েটার বা জ্যাকেটকে বেশ বাড়াবাড়িই মনে হচ্ছিল। তাপমাত্রা বাড়ার বিষয়টা টের পাচ্ছিল বঙ্গবাসী। কিন্তু আজ, মঙ্গলবার ভোরে দেখা গেল শীত একেবারেই নেই। হঠাৎ যেন সে ‘গায়েব’। এমনকি ডিসেম্বরের শেষের দিকে বিন্দু বিন্দু ঘামও জমছে কপালে, যা সত্যিই কল্পনার অতীত। সবমিলিয়ে বেশ একটা অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গে।

শেষ ২০০৪ সালের ২১শে ডিসেম্বরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। আর ২০২২ সালেরশে ২৭ ডিসেম্বর তা গিয়ে পৌঁছল ২০.৭ ডিগ্রিতে। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি? পৌষ মাসে কেন এমন গরম?

আবহাওয়াবিদদের মতে, দক্ষিণ বঙ্গোপাসগারে নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। সেই কারণেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে থেকে হঠাৎ গায়েব শীত। গতকাল, সোমবারও কলকাতার পারদ একধাক্কায় আরও তিন ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে গেল।

তবে আবহবিদদের মতে, আগামীকাল, বুধবার থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। হাওয়া অফিসের কথা অনুযায়ী, বছরের শেষে ভালোই শীত থাকবে। ২৯ থেকে ৩১শে ডিসেম্বর ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা থাকতে পারে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: