রাজ্য

হাতছাড়া হয়েছিল আসন, তারপরও ঝালদা পুরসভায় তৃণমূল প্রশাসক বসাল সরকার, আদালতে যেতে পারে কংগ্রেস

কংগ্রেস ও নির্দলের পুরপ্রধান নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই বড় ধাক্কা খেল বিরোধী শিবির। তৃণমূল উপপ্রধান সুদীপ কর্মকার অনাস্থার তলবি সভা হয়। সেই সভার সাতদিন না কাটতেই ওই পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। সেই কারণে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করল রাজ্যের নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক বিভাগ। ওই পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছোয়াড়কে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গতকাল, শুক্রবার এই মর্মে নগরোন্নয়ন ও পুরবিষয়ক বিভাগ আদেশনামা জারি করে পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দার কাছে পাঠিয়েছে। ঝালদা পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার, নতুন চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় মন্ত্রীর কার্যালয়ে সেই আদেশনামার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপাল অ্যাক্ট ১৯৯৩, সাবসেকশন ৪, অফসেকশন ১৭ বিধি মেনে এই নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। শুক্রবার রাতে এই বিষয়টি ঝালদা পুরশহরে চাউর হতেই বিরোধীরা জানান যে তারা আদালতে যাবেন।

অন্যদিকে আবার মিথ্যে মামলায় আগের থেকেই সতর্কতা মামলায় ঝালদা পুরসভার ছয় বিরোধী কাউন্সিলর হাইকোর্টে রক্ষাকবচ পেয়েছেন। এর আগেও এক কাউন্সিলরকে রক্ষাকবচ দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা কড়া নির্দেশ দিয়েছেন যে এই সাত কাউন্সিলরের বিরদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। ঝালদা পুরসভার চার কংগ্রেস ও দুই নির্দল কাউন্সিলর আগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই ভেবে যে তাদের হয়ত কোনও মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হতে পারে।

মামলাকারীর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান যে গত ২১শে নভেম্বর পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল। অন্যদিকে, দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস।

গতকাল, শনিবার নির্দলকে নিয়ে তারা বোর্ড গঠনের প্রাক্কালে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু, মিঠুন কান্দু, বিজয় কান্দু, বিপ্লব কয়াল এবং নির্দলের শিলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকার। এই মামলাতেই আদালত নির্দেশ দেয় যে পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না।

Back to top button
%d bloggers like this: