অদ্ভুত যুক্তি! কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা না দেওয়াতেই বিস্ফোরণ হয়ে ৯ জনের মৃত্যু এগরায়, দাবী তৃণমূলের

এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে নানান তৃণমূল নেতারা বারবার সরব হয়েছেন কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে। কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না বলে তোপ দেগেছন মমতা নিজেও। কিন্তু তা বলে কেন্দ্র সেই ১০০ দিনের টাকা না দেওয়াতেই এগরায় বিস্ফোরণ হয়েছে? ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর এমনই দাবী করল তৃণমূল।
তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এমনই অদ্ভুত দাবী করা হয়েছে। তাদের দাবী, কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না বলেই স্থানীয় লোকজনদের ওই বাজির কারখানায় করতে হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ আনলেও, এবার এগরার ঘটনাতেও সেই কেন্দ্রের বঞ্চনার বিষয়টিই জুড়ে দিল মমতার দল।
টুইটে তৃণমূল লিখেছে, “বিজেপির উদাসীনতায় প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষ। কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। সে কারণেই পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ অবৈধ বাজি কারখানায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। দরিদ্র মানুষকে আর কত কষ্ট পেতে হবে”?
.@BJP4India's apathy is claiming innocent lives!
With the Centre withholding MGNREGS funds owed to Bengal, workers in East Midnapore were forced to take on hazardous work at an illegal firecracker factory.
How much do the poor need to suffer?! https://t.co/XHfRbm34C0
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) May 18, 2023
তৃণমূলের এহেন দাবীর পর প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের গাফিলতি আড়াল করতেই কি শাসক শিবির কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বলছে? গ্রামবাসীরা কেন এমন যুক্তি দিচ্ছে না? সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিরোধীরা।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এটা প্রমাণ হয়ে গেল যে রাজ্যে কেউ কাজ না পেলে রাজ্য দায়িত্ব নিয়ে বোমা কারখানায় কাজ দিয়ে দেবে, তাকে বোমা তৈরিতে সিদ্ধহস্ত করে দেবে। কারণ বোমার প্রাসঙ্গিকতা এখন সমাজে সর্বাধিক”।
শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, রাজ্যের শাসক দল এখন জনরোষের শিকার। গ্রামবাসীদেরও যদি এটাই বক্তব্য হত, তাহলে তৃণমূল প্রতিনিধিদের দেখে তারা বিক্ষোভ দেখাতেন না আর তৃণমূল নেতাদেরও পালিয়ে আসতে হত না বলে দাবী বিজেপি নেতার। তিনি আরও দাবী করেন যে পুলিশের হস্তক্ষেপেই খাদিকুলের ওই এলাকায় ওই বেআইনি বাজির কারখানা চলছিল। তাঁর কথায়, “এই টুইট আরও একবার প্রমাণ করে দিল যে এই ভানু বাগরা আসলেরই রূপ”।
এগরায় ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দিনের পর দিন কীভাবে অবৈধ বাজির কারখানা চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তদের দাবী, এগরা থানার পুলিশ ওই বাজি কারখানা থেকে টাকাও নিত। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ওই এলাকা বিজেপির পঞ্চায়েতের মধ্যে। আর এবার এই ঘটনায় সরাসরি কেন্দ্রের বঞ্চনাকে দায়ী করল তৃণমূল।