‘এরা শুধু মার বোঝে, পিঠের চামড়া তুলে নিতে হবে’, নওশাদদের হুমকি আরাবুল ইসলামের, ফের বাকযুদ্ধে সামিল তৃণমূল-আইএসএফ

ফের বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। উন্নয়ন দিয়ে কাজ হবে না, পিঠের চামড়া তুলে নিতে হবে, এভাবেই প্রকাশ্যে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে হুমকি শানান তিনি। যেখানেই আইএসএফ সভা করবে, সেখানে বাঁশ, লাঠি নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের তৈরি থাকার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা।
ঘটনার সূত্রপাত আইএসএফের সভাকে কেন্দ্র করে। ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে আইএসএফ সভা করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা সভা করে তৃণমূল। সেই সভা থেকেই নওশাদ সিদ্দিকির নাম করেই কটাক্ষ করে তৃণমূল। আইএসএফকে তীব্র আক্রমন করেন আরাবুল ইসলাম ও শওকত মোল্লারা।
আরাবুল বলেন, “নওশাদ উন্নয়নের কিছু বোঝে না। ভাঙড়ে উন্নয়ন না তার বদলে আইএসএফের পিঠের চামড়া তুলে নিতে হবে। কারণ, এরা উন্নয়ন চোখে দেখতে পায় না। এরা শুধু মার বোঝে। তাই এদের পিঠে মারতে হবে। এরা যে ভাষা বোঝে, নওশাদরা যে ভাষা বোঝে, নওশাদের চ্যালারা যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষাই ব্যবহার করতে হবে ভাঙড়ে”। আরাবুলের এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যেখানে শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা বলছেন, সেখানে জনসভায় তৃণমূল নেতারা এমন উস্কানিমূলক মন্তব্য কীভাবে করতে পারেন।
তবে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ নওশাদ। তাঁর কথায়, “কুকথা বলে, কটূ কথা বলে রাজনীতির শিরোনামে থাকতে চায়। দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে নিজেদের জাহির করতে চায়। বড় দায়িত্ব পেতে চায় এরা। এর আগেও বলেছে হাত কেটে নেবে, কব্জি কেটে নেবে। এখন আরাবুল সাহেব মারার নিদান দিচ্ছেন। আরাবুল সাহেবের তো রেকর্ড আছেই। উনি কলেজের অধ্যাপিকাকে জগ ছুড়ে মেরেছেন। তাঁর বাড়ির বাগান থেকে বালতি বালতি বোমা উদ্ধার হয়েছে। তাঁর কথাকে সায় দিচ্ছে সওকত সাহেব”।
অন্যদিকে, ওই এলাকার এক আইএসএফ নেতা ফিরোজ খান বলেন, “ভাইজানের সভায় আমাদের গ্রাম থেকে প্রচুর সমর্থক গিয়েছিল। সেই আক্রোশে তৃণমূল নেতা বাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে আমাদের সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি হয়েছে। তাতে এক শিশু আহত হয়েছে”।
অন্যদিকে আবার বোমাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা বাহারুল ইসলাম। তাঁর কথায়, “আমরা সভার প্রস্তুতি নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম। আমরা কেন বোমা ফাটাতে যাব কেন? মিথ্যা অভিযোগ এটা। ওরা নিজেরাই বোমা ফাটিয়ে আমাদের নামে বদনাম করার চেষ্টা করছে”।