রাজ্য

‘সন্ত্রাসের হুমকি দিয়ে চলেছেন কিন্তু মানুষ ওকে আর ভয় পাচ্ছে না’, নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই শুভেন্দুকে বেলাগাম আক্রমণ জয়প্রকাশের

নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভেটুরিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জয় হয়েছে তৃণমূলের (TMC)। এর জেরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গড়ে অক্সিজেন পাচ্ছে শাসক শিবির। সমবায় সমিতির সেই জয়ের কারণে নন্দীগ্রামে এক সভার আয়োজন করে তৃণমূল। এবার সেখান থেকেই শুভেন্দুকে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানালেন বিজেপিত্যাগী তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar)।

সমবায় নির্বাচনের ফলকে সামনে রেখেই রাজ্যের অন্যতম হটস্পট কেন্দ্রে বিরোধী দলনেতাকে কোণঠাসা করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। এদিনের মঞ্চ থেকে সেই বার্তাই উঠে আসে। এদিন জয়প্রকাশ বলেন, “নন্দীগ্রামের মাটিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর  ঠাঁই নেই। ভেটুরিয়ায় সমবায়ের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ জয়ের নিরিখে এবার নন্দীগ্রাম থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে যোগ্য জবাব দেওয়ার সময় এসেছে”।

প্রসঙ্গত, ভেটুরিয়ায় সমবায় নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই এলাকায় দফায় দফায় অশান্তি লেগে ছিল। দুই দলই একে ওপরের বিরুদ্ধে বহিরাগত লোক ঢোকানোর অভিযোগ তোলে। সেই অশান্তির প্রসঙ্গ টেনেই এদিন জয়প্রকাশ বলেন, “সাম্প্রদায়িক বিভাজন এনে রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরির কৌশল নিয়েছেন শুভেন্দু। কথায় কথায় শাসানি, সন্ত্রাসের হুমকি দিয়ে চলেছেন। সাধারণ মানুষ আর ওকে ভয় পায় না। ভেটুরিয়া সমবায় ভোটে বহিরাগত দুষ্কৃতী ঢুকিয়ে বোমাবাজি, গুলি চালাবার ষড়যন্ত্র করেছিলেন বোমার রাজা, লোডশেডিংয়ের রাজা শুভেন্দু”।

এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষকান্তি ভূঁইয়া, সভাপতি সৌমেন মহাপাত্ররা। সম্প্রতি নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ১২ টি আসনের মধ্যে ১২ টিতেই জয়লাভ করে তৃণমূল। নন্দীগ্রাম শুভেন্দুর বিধানসভা। সেই বিধানসভায় সমবায় নির্বাচনে খাতা খুলতে না পারায় কটাক্ষও শোনা যায় তৃণমূল নেতৃত্বদের মুখ থেকে।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের ক্ষমতা যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা সমবায় নির্বাচনে জয় হোক অথবা বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান হোক, তা প্রমাণিত বলেই দাবী তৃণমূল জেলা নেতৃত্বদের। তবে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, সমবায় নির্বাচনে তো সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে না। তাই সেটাকে নিয়েই তৃণমূলের এই উল্লাস স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেই দৃষ্টিকটু। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই এলাকা থেকে জনসাধারণের সমর্থন বিজেপির সঙ্গে থাকবে বলে দাবী তাঁদের।

Back to top button
%d bloggers like this: